এ কে এস খান ফার্মাসিউটিক্যালস ডেনিশ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (আই এফ ইউ ) থেকে ১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রিটেইল ফার্মেসি চেইন ৮০টি শাখা সম্প্রসারণ এবং ৩০টিরও বেশি নতুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করবে ।বুধবার রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একেএস হোল্ডিংস এর চেয়ারম্যান এ কে সামসুদ্দিন খান এবং আই এফ ইউ -এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সি ই ও ) লার্স বো বারট্রামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ বাংলাদেশজুড়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের ভিশন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন দিগন্ত কার্যকর চিকিৎসা এবং মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী ও নির্ভুল রোগ নির্ণয় অপরিহার্য। মানসম্পন্ন ওষুধের সহজলভ্যতা, রোগ নিরাময় ও চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা এ দেশের কোটি কোটি দীর্ঘস্থায়ী রোগীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আই এফ ইউ -এর এই বিনিয়োগের ফলে এ কে পি এল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতি বছরে ৮ মিলিয়ন রোগীর কাছে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। ফার্মেসি ও ডায়গনিস্টিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও বয়স্ক রোগীদের জন্য বাসায় এক্স-রে ও আল্ট্রাসাউন্ডের সুবিধা সরবরাহের মতো উদ্ভাবনী সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ।
ঢাকার বাইরেও কোম্পানির পরিধি বৃদ্ধি হবে, যা দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
আই এফ ইউ -এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সি ই ও ) লার্স বো বারট্রাম বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা একটি দেশের সামাজিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি। এ কে পি এল -এর ফার্মেসি-নির্ভর প্রাইমারি কেয়ার মডেল এবং বিস্তৃত ডায়াগনস্টিক সেবা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। আই এফ ইউ এই বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, এটি আর্থিকভাবে লাভজনক একটি উদ্যোগ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে। এই উদ্যোগটি ১৯৬৭ সাল থেকে আই এফ ইউ -এর প্রভাবশালী বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে, যা সবুজ রূপান্তরসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।”