রাজধানীর কাঁচামালের বাজারে একদিনের ব্যবধানে কমেছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, বেগুন ও বরবটিসহ বেশকিছু সবজির দাম। এতে ক্রেতাদের স্বস্তিতে বাজার করতে দেখা গেছে। অপরদিকে বাজারে চাল, মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কাওরানবাজারের সবজি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বেশকিছু দিন ধরে সবজি বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বন্যায় অনেক ফসলের জমি ডুবে গিয়ে কৃষিকের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বাজারে নতুন নতুন অনেক সবজি বাজারে আসছে, এতে করে সরবরাহ বেড়েছে। এর কারণে ২/৩ সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকারও বেশি।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ২০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ১০ টাকা কমে করলা ৫০ টাকা, ৪০ টাকা কমে বরবটি ৩০ টাকা, ১০ টাকা কমে বেগুন মান ভেদে ৫০-৬০ টাকা, ২০ টাকা কমে টমেটো ১৩০ টাকা, ৪০ টাকা কমে শিম ১১০ টাকা, ৫ টাকা কমে পেঁপে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কাওরানবাজারসহ কিছু স্থানে দেখা যায় ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে পাড়া মহোল্লায় ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগিরর বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মান ভেদে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ৬০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমনধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলার চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।