বিজি ২০১, বোয়িং ৭৮৭। বাংলাদেশ বিমানের অচিন পাখি। গন্তব্য লন্ডন। শুক্রবার সিলেট থেকে টেক অফ এর পর লম্বা একটা ঘুম দিলাম, প্রায় অর্ধেক পথ। এর পর ভাবলাম একটা সিনেমা দেইখা আবারো ঘুমাবো।
ড্রিম লাইনারের ভিডিও লাইব্রেরিতে ঢুইকা মাথায় আগুন ধইরা গেলো। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারের এন্টারটেইনমেন্টের এ কি অবস্থা! নতুন পুরাতন ইংলিশ সিনেমা আছে। থাকতেই হবে, যেহেতু আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট। আছে জাপানিজ ও হিন্দি সিনেমা। পেলাম কলকাতার কয়েকটা নিম্নমানের বাংলা ছবিও। বিগত কয়েক বছরে যেহেতু দেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালকদের দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত সিনেমা আছে। আছে বানিজ্যিকভাবে সফল ছবিও। কোন একটা ছবি দেখার প্রত্যাশায় হারিকেন- লন্ঠন দিয়া বাংলাদেশী ছবি খুঁজতে শুরু করলাম। দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো একটা বাংলাদেশী সিনেমাও না পাইয়া আহত হইয়া চিফ পার্সারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম এর কারন কি? তার কথাও শরিরী ভাষায় বুঝলাম এটা হেড অফিসের অন্য ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। আমিও তাই জানি। তবে তিনি কাস্টমার ফিডবেকের একটা খোলা ফর্ম হাতে ধরাইয়া দিলেন। সেখানে মন্তব্যের ঘরে আমি যা লিখছি তা হুবহু তুইলা দিলাম।
“ খুবই হতাশ হলাম। কে বা কারা ইনফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে আছেন জানিনা। সিনেমা খুঁজতে যাইয়া দেখলাম নিম্নমানের ভারতীয় বাংলা সিনেমা আছে। আছে হিন্দি, ইংলিশ এবং জাপানিজ সিনেমাও, অথচ আমার দেশের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারে খুঁজে পেলামনা বাংলাদেশের একটি সিনেমাও। অথচ বিগত কয়েক বছরে দুনিয়া জুড়ে পুরস্কার জেতা অসংখ্য সিনেমা আছে দেশীয় নির্মাতাদের। আমার মনে হয়েছে, বিমানের সিদ্ধান্ত গ্রহীতারা ভারতীয়। এটা লজ্জার।”
জানিনা আমার এ মন্তব্য এমডি- সিইও বরাবর পৌছাবে কি না। তবে রেকর্ড স্বরুপ এইটা কমেন্টে রেখে দিলাম।
লেখাঃ জসিম আহমেদ