etcnews
ঢাকাMonday , 8 May 2023
  1. অন্যান্য
  2. জাতীয়
  3. প্রযুক্তি
  4. বানিজ্য
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভিডিও গ্যালারি
  8. রাজনীতি
  9. লাইফস্টাইল
  10. সর্বশেষ
  11. সারাদেশ
  12. স্বাস্থ্য
box ad 6
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলাপাড়ায় মুজিব শতবর্ষ ঘরের জায়গায় বহিরাগতদের বসবাসের অভিযোগ

Link Copied!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী’র দেয়া উপহারের ঘরের জন্য বরাদ্ধকৃত জায়গায় বহিরাগতদের বসবাস করতে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চান্দুপাড়া গ্রামের মুজিব শতবর্ষের আবাসনে এ ঘটনা ঘটেছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের থাকার জন্য জমিসহ একটি করে ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। অথচ সেই জায়গায় একাধিক বহিরাগত লোক নিজ খরচে টিনের ঘর তুলে বসবাস করছেন। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য অবৈধ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সেখানে বহিরাগতদের থাকার বন্দোবস্ত করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। মুজিব শতবর্ষের ঘর উপহার পাওয়ার আগেই সেখানে বহিরাগতরা কিভাবে টিনের ঘর তুলে বসবাস করে এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের দক্ষিনপাশে মুজিব শতবর্ষের ঘর উপহারের আবাসন রয়েছে। এ আবাসনে মোট ৩৩ টি ঘর রয়েছে। তিন ধাপে এ ঘরগুলো উপহার দেয়া হয়েছে। চতুর্থ ধাপে সেখানে আরো ৯ টি ঘর উপহার দেয়া হবে। যা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু এ আবাসনে একাধিক বহিরাগত পরিবারকে টিনের ঘরে বসবাস করতে ও নতুন ঘর তুলতে দেখা যায়। উপহারের ঘর পাওয়ার আগেই জায়গা দখলের জন্য এখানে উঠেছেন বলে ওই পরিবারের সদস্যরা জানান। তবে, তাদের নাম ভূমিহীনদের তালিকায় রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তারা অবগত নন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদারের কথায় আবাসনে আসছেন বলে তারা জানান।
টিনের ঘরে বসবাসকারী বহিরাগত পারভীন বেগম বলেন, আমাদের বাড়ীঘর রাস্তারকূলে ছিলো। রাস্তা ভাইঙ্গা গেলে শনিবাড়িয়া (মুক্তিযোদ্ধা) বাজারে ভাড়া বাসায় ছিলাম। পরে মেম্বারের কথামতো এখানে আসছি।
আকবর নামে আরেকজন বলেন, অসহায় বলে এখানে থাকতে দিছে। তবে, মাটি ভরাটের জন্য টাকা দিতে হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. নিজাম মৃধা বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী’র দেয়া উপহারের ঘরের জায়গায় একাধিক টিনের ঘর দেখে আমরা হতবাক! প্রধানমন্ত্রী’র দেয়া উপহারের ঘর ছাড়াও টাকার বিনিময়ে সেখানে একাধিক টিনের ঘর উঠছে। এবিষয়ে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
অভিযুক্ত ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুদ হাওলাদারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পায়রা বন্দর উন্নয়নের কাজের জন্য রাস্তা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। রাস্তার দু-পাশে বসবাসরত সেই মানুষগুলো এখানে উঠেছে। এখানে যারা বসবাস করছে তাদের সকলের নাম ভূমিহীনদের তালিকায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তারা ঘর উপহার পাবে। তবে, উপহারের ঘর পাওয়ার আগেই কিভাবে তারা এখানে উঠেছে এবিষয়ে তিনি সুস্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি।
লালুয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, আপনাদের নিকট থেকে বিষয়টি জানলাম। আমি সরেজমিনে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, মুজিব শর্তবর্ষ উপহারের পর্যাপ্ত ঘরের বরাদ্ধ রয়েছে। খাস জমির সংকুলানের জন্য দিতে পারছি না। ওখানে যারা রয়েছে সকলকেই পর্যায়ক্রমে ঘর উপহার দেয়া হবে। সেখানে নিজ খরচে কারো ঘর ওঠানোর প্রয়োজন নেই। তবে, এবিষয় নিয়ে কোন অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সাইটে কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।