নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতিষ সালাম সিকদার তার নিজের ফেসবুকে আগামীর বাংলাদেশ কেমন যাবে এই নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী লিখে পোস্ট করেন।
তাহলে কি তার ভবিষ্যৎ বানীই সত্যি হতে যাচ্ছে?
জ্যোতিষী সালাম সিকদার এর ফেসবুক থেকে নেয়া ভবিষ্যৎ বানী নিয়ে লেখা পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো :
আগ্রাসী ভারত বাংলাদেশ কে প্রকাশ্যে ফাইনালি আক্রমণ করবে! এটা হতে পারে অক্টোবর ২০২৪ ইং পরবর্তী যেকোনো সময়ে।
তবে রাশিয়া ইউক্রেনের ম্যধ্যে উত্তপ্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং মিডল ইস্ট সহ বৈশ্বিক যুদ্ধবিগ্রহ নানা অস্থির পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সামরিক বাহিনী অভিযান চালাতে আরো সময় নিতে পারে।
এখন থেকে আসছে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত অতিক্রম করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে বহু চ্যালেঞ্জের সাথে আসন্ন বিব্রত কর সকল পরিস্থিতি দক্ষ ভাবে মোকাবেলা করতে হবে, অন্যথায় মহা বিপদ সংকেত দেখতে পাচ্ছি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সামনে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে এছাড়াও অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিকূলতার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া কঠিন হবে, যেমন আমলাতান্ত্রিক অসহযোগিতা, মুনাফা লোভী সিন্ডিকেট জটিলতায় এসরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে।
আগামী ২০২৫ ইং সালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে! এতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের নাভিশ্বাস উঠবে, বিভিন্ন সরকারি আদা সরকারি প্রতিষ্ঠান তথা কলকারখানার শ্রমিকরা সহ ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি পর্যায়ের কুটচালে বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে বর্তমান সরকারকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখতে পাচ্ছি, যেমন নানান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নাটকীয়তা, উপদেষ্টা পরিষদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, গুপ্তহত্যা সহ কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন নাশকতার ঘটনাও ঘটতে পারে, বিগত দিনের ভয়াবহ গণহত্যার বিচারকার্য বাধাগ্রস্থ এবং ভু-রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দেওয়ার লক্ষ্যে পরাজিত শক্তির অর্থায়নে ঘাপটি মেরে থাকা গোষ্ঠীর ইন্দনে ব্যাপক রক্তপাত লক্ষ্য করছি!
বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক পর্যায় সফলতা আশানুরূপ হবে না। এরই ফলশ্রুতিতে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনে দেশের বৈধ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অবাদ সুষ্ঠু একটি জাতীয় নির্বাচন দিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হবে!
পূর্বের ন্যায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংবাদপত্রের আগ্রাসনে অস্থিরতা বাড়বে, এছাড়া বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার স্বপদে বহাল কে কেন্দ্র করে জাতির সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি, এরই ধারাবাহিকতায় দেশে শিক্ষাঙ্গন গুলো উত্তপ্ত থাকতে পারে, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগে অনীহা, বাণিজ্যে অদূরদর্শিতা (আমদানি রপ্তানিতে) পূর্বের ন্যায় ঘাপলা, কূটনৈতিক ব্যর্থতা, শ্রমশক্তি রপ্তানি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও নানান ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিরাসনে ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে!
যার প্রেক্ষিতে সেনা সমর্থিত বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের আয়ুষ্কাল আরো দীর্ঘ হতে পারে। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি দূরীকরণের জন্য তখন দেশ আবার আন্দোলনে উত্তাল হতেও পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বৃহৎ মোর্চা লক্ষ্য করা যায়। তবে পরাজিত শক্তি সহসা আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ ইং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে বিশ্ব রাজনীতির কিছুটা পট পরিবর্তন স্বাভাবিক ব্যাপার এবং হবেও তাই। ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা সেনা অভিযান চালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লবিং করবে, বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সামর্থন আদায় করতে কিছুটা সময় নিতে পারে, তবে এক্ষেত্রে ভারতের সফলতা তেমন একটা দেখতে পাচ্ছি না।
ভারত বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে উৎখাত করতে উঠে পড়ে লাগবে- এলক্ষ্য বর্তমানে প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভারতীয় তথা পরাজিত শক্তির অর্থায়নে পদে পদে বাধাগ্রস্থ করতে নানামুখী প্রচেষ্টা দেশে-বিদেশে অব্যাহত রাখবে!
এ-দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যা যা প্রচেষ্টা ভারতীয় মদত পুষ্ট সংগঠন (এজেন্ট) তথা গোষ্ঠী দ্বারা চেস্টা চালিয়ে যাবে। বর্তমান মাননীয় উপদেষ্টা পরিষদের “উপদেষ্টা মন্ডলীগণ তথা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গণ সহ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আরও জোরদারের অনুভব করছি, এবং আগামী পহেলা জানুয়ারি ২০২৫ ইং পরবর্তীতে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস স্যার কে লক্ষ্য করে দেশী-বিদেশি আততায়ীরা গুপ্ত হামলা চালাতে পারে অথবা এ্যাটাক করতে পারে!
এমনটা হলে গোটা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাবে, এমনটি ঘটলে বিশ্ব রাজনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। উক্ত ওই বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতা বাদীরা মাথা চাড়া দিয়া উঠবে, গোটা ভারতবর্ষে ধর্মীয় দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়বে। এমনটা শুরু হলে তার অল্প দিনের ব্যবধানে ভারতের সেভেন সিস্টার সহ অন্যান্য রাজ্যের স্বাধীনতা কামিরা তাদের নিজ নিজ রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেবে,ফলশ্রুতিতে পরবর্তী পরিস্থিতি ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
হে মহান আল্লাহ্ সকল ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।আমিন
এর আগেও তিনি আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যৎ বানীতে লিখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ই হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, হয়েছেও তাই।
এ্যাস্ট্রোলোজার ছালাম শিকদার
পটুয়াখালী
৮/৯/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
