কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণ এলাকায় বসতকৃত জমি ও ঘরের ক্ষতিপূরণ বঞ্চিত হওয়ায় আর্থিক সহযোগিতা ও পূর্নবাসন তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করন এবং মাথাগোঁজার ঠাঁই চেয়ে মানববন্ধন করেছে ১০টি পরিবারের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন চর-বালিয়াতলী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন করেন ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।
ভূক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, গত ৫০ বছর যাবৎ তাঁরা এখানে বসবাস করে আসছে কিন্তু ২০১৭ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করলে আশেপাশের সকল জমি ও আবাসস্থলের ক্ষতিপূরণ দেয় তবে তাদের ১০ টি পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে উক্ত জমির এস.এ রেকর্ড তাঁদের নামে থাকলেও বিএস রেকর্ড পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে হওয়ায় তাঁরা এই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন তাদের দাবি সরকার যাতে তাদের আবাস্থলের ক্ষতিপূরণ দিয়ে মাথাগোঁজা ঠাই করে দেয়।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল অংশগ্রহণ করে তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে গেলেও কোনো সমাধান পাননি বলে জানান তারা।
ভূক্তভোগী ষাটোর্ধ রুহুল আমিন সিকদার বলেন, আমাকে সরকার এক একর জায়গা ২০১০ সালে বন্দোবস্ত দেয় তারপরে সেই সম্পত্তি আমার নামে এস এ রেকর্ডও হয় কিন্তু বিএস রেকর্ড হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে তাই আমরা এখন এই সম্পত্তি ও অবকাঠামোর অধিগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের বাপ-দাদার কবরস্থান এখানে আমাদের মাথাগোঁজা জায়গা নেই। আমরা সরকারের সহযোগীতা চাই।
রুমি নামের আর এক ভূক্তভোগী বলেন, আমার স্বামী জেলে কাজ করে তাই আমরা সরকারের দেয়া বন্দোবস্ত জমিতে থাকি কিন্তু আমাদের আশেপাশের জমি পায়রাবন্দর অধিগ্রহণ করে নিয়ে গেল কিন্তু আমাদেরকে রেখে গেল এখন আমাদের মরন ছাড়া কোনো গতি নাই। আমরা সরকারের কাছে একটু পূর্নবাসন ও অর্থিক সহযোগিতা চাই।
এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জমির অধিগ্রহণ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদের সকল কাগজপত্র সত্যতার উপরে আদালতের সহযোগীতা নিলে তারা তাদের সকল দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। তবে স্থাপনার ক্ষতিপূরণ তাদের প্রাপ্য যাতে সেগুলো পেতে পারে সে ব্যাপারে আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।