মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ একদিকে প্রচন্ড গরম, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলাবাসীর জনজীবন। প্রচন্ড গরমে দিনে-রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার/বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেেছ আবার কোন কোন এলাকায় পাঁচ/ছয় বার। এলাকাবাসীর অভিযোগ গড়ে প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার সর্বত্র মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী ও রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নবজাতক,এসএসসি পরীক্ষার্থী ও রোগীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাপসা গরমে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছেন না লোকজন। মাত্রারিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরম ভাবে বিঘন হচ্ছে।
ফ্রিজে রাখা মাছ,মাংশ,সবজি ও খাবার নষ্ট হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে মিল-কারখানার উৎপাদন। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বিপদে আছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ গুলো। উপজেলার
পীড়েরটেকি এলাকার বিশিষ্ঠ কৃষক মো: আবুল হোসেন দুলন বলেন, সকাল ৭টার পর সূর্যের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং দুপুরে তীব্রতা আরও বেশি বৃদ্ধি পায় । তখন ধানকাটা চরম কষ্টকর।
প্রচন্ড রোদে তাকালেই চোখ যেন ঝাপসা হয়ে আসে। গরম বাতাস আগুনের হলকার মতো শরীরে লাগে। সারা দিন পর ঘরে ফিরে যদি দেখি বিদ্যুৎ নাই বলেন কেমন লাগে ?
ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ উপজেলার চন্দ্রা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: কামাল হোসেন ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কথা স্বিকার করে বলেন, দেশে বিদ্যুতের পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকায় ঘনঘন লোডশেটিং চচ্ছে।