ডেস্ক রিপোর্টঃ
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় নিয়াজ মোর্শেদ তনয় নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে॥
তনয় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তনয়ের ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
আসসালামু আলাইকুম, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ও পরিচিত জনরা অনেকেই আমার সমস্যার বিষয় জানেন। কিন্তু আপনারা হয়তো আসল ঘটনাটা জানেন না।
আসল ঘটনাটা জানানো আমার দায়িত্ব। আপনারা হয়তো ভুল তথ্য শুনে আমাকে খারাপ ভেবে বসে আছেন, যে তনয় একটা খারাপ ছেলে। আমি দীর্ঘ ছয় বছর আগে ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতী মিমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। শুরুতেই একটি ছেলে রাকিব পিতা বারেক পেয়াদা। আমাকে বলল ভাই আপনি আমার বউকে বিয়ে করেছেন মিমের সাথে আমার কিছুদিন আগে বিয়ে হয়েছে কিন্তু ওর বাবা মা মেনে নেয়নি এই জন্য আর সংসার হয়নি। আমি আকাশ থেকে পড়লাম, কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা, আর মীমকে জিজ্ঞেস করলাম বিষয়টা কি। সে বলল বিয়ের আগে তার সাথে আমার প্রেম ছিল আর আমরা মোবাইলে বিয়ে করেছি এটা পোলাপানের কাজ এটার কোন ভিত্তি নেই। আমি ওকে বিশ্বাস করে এটি নিয়ে আর মাথা ঘামাইনি। সবকিছু ঠিকঠাক চলতেছিল। আমাকে সাপে কাটলো সে তার নানা বাড়ি, তার পরিবারের একটা লোক আমাকে দেখতে আসে নাই। মনে কষ্ট ছিল কিন্তু আমার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে আমি সবকিছু সহ্য করে নিয়েছি। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমি মিমের মোবাইলে কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও কিছু নোংরা কথোপকথন ও এসএমএস পাই। বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে বলল ওই ছেলের সাথে তার এক বছরের সম্পর্ক। সে আমার সাথে থাকবে না ওই ছেলেকে বিয়ে করবে। ছবি ও কথোপকথন গুলো আমি এই লেখার সাথে এটাস্ট করে দিব। আমি আরো তথ্য কালেকশন শুরু করলাম। তখন দেখলাম মিমের ভাবি হুমায়রা রহমান নিশাত ও মিমের মা নীলা আক্তার ও মিমের ভাই হাসান মেহেদী মিঠু এই তিনজনে ওই ছেলের সাথে সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণভাবে জানতো এবং তাকে সাপোর্ট করতো। এমনকি ওই ছেলেকে তারা বাসায় দাওয়াত দিয়ে পর্যন্ত খাওয়াইছে। আমার শাশুড়িকে বললে সে বলে এই বয়সের মেয়েরা এইটুকু করে। ওই ছেলের নাম তারেক ইসলাম ডাকনাম বাহাদুর। সেই ছেলে হলো মিঠুর বন্ধুর বউয়ের চাচতো ভাই। মিঠু আর সেই ছেলে ঢাকায় বসে একসাথে মদ খায়। বিষয়টা আমি জানার পর এটি নিয়ে আরো তথ্য কালেকশন শুরু করলাম তখন দেখলাম এই ছেলে যখন ওকে ডিস্টার্ব করে তখন মীম তার ভাবি হুমায়রা রহমানকে জানায়, ভাবি ওই ছেলে আমাকে ডিস্টার্ব করে। তার ভাবি উত্তরে বলল কথা বল প্রেম করো তনয় জানবে না ( প্রমাণ সংযুক্ত) । মিমের একটি এসএমএসে জানতে পারি যে মিম কে ওই ছেলে জিজ্ঞেস করছে তোমার বাসায় মানবে তো তখন মেয়ে উত্তরে বলল আম্মু আব্বু ভাইয়া ভাবী এরা রাজি, আব্বু এখনো জানে না। এইটার ভয়েস রেকর্ডিং আছে আমি একটি পেনড্রাইভ করে রেখেছি। আমি আমার গার্জিয়ানদের জানালাম মেয়র জনাব মতিয়ার রহমান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব এম এ কাদের মিঞার বৈঠকে আমাদের মীমাংসা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সে শোধরালো না কিছুদিন পর আবার সেই ছেলে তাকে মেসেজ দিল, তনয় বাসায় ঢোকার আগে কল দিও তোমার সাথে কথা আছে। এমনকি তারা মার্চ মাসে পালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি এটা দেখার পরে আবার তার মা এবং চাচীকে বললাম দেখালাম তারা উল্টো আমাকে হুমকি দিল এমনকি তার চাচা মঞ্জু গাজী আমাকে বলল বেশি বারিস না তোরে রাস্তায় ফেলে কোপাইয়া পঙ্গু করে দেব (ভিডিও সংযুক্ত)। তারা আমাকে ভয় দেখিয়ে তাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে বলে কারণ ওই ছেলে পালাইছে সে আর মীমকে নিবে না। এর মধ্যে ওর ফোনে আর একটা মেসেজ আসলো ছেলের নাম প্রিন্স রাজ। ওর আইডিতে এসএমএস দিল যে কি হল কয়েকদিন ধরে কথা বলতেছ না কোন সমস্যা নাকি হাজবেন্ড জানলো নাকি? আমি আকাশ থেকে পড়লাম কিরে ভাই এই মেয়ে এত চরিত্র খারাপ । ছেলেকে বললাম যে আপনি ওকে পেলেন কোথায় সে বলল তার বাড়ি বরিশাল সে আমতলী চেয়ারম্যান মালা কাকির বাসায় বেড়াতে আসছিল। তখন আব্দুল্লাহ সুপার মার্কেটে তার সাথে দেখা হয়েছে এবং ফেসবুকে ফ্রেন্ড আধান প্রদান হয়েছে পরে তাদের ভিতরে কথা হয়। এরপরে ইমরান নামের একটি ছেলে মাত্র সাড়ে ১১ টার সময় দুই প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে ওদের বাসার পিছনের গেট দিয়ে যায় খোঁজ নিয়ে দেখলাম এক প্যাকেট ওর ভাবির জন্য আর এক প্যাকেট ওর জন্য নিয়ে গেছে। কেন রে ভাই আমি কি আমার বউকে খাবারের কষ্ট রেখেছিলাম? এগুলো কিছুই না আসলে চরিত্রের দোষ। মিঠু মনে করেছে যে আমার বউ দুইবার পালাইয়া গেছে তারপরও আমি এনে সংসার করতেছি হয়তো আমার বোন এরকম করলে তনয় ও বারবার মেনে নিবে। মিঠুকে বলতেছি মিঠু তোর মত সবাই মজাভাঙ্গা পোলা না, আর মদ খোর ও না। তোর বউ তার প্রেমিকের সাথে রুমের অন্তরঙ্গ ছবি আমার কাছে আছে কিন্তু আমি পাবলিক করলাম না কারণ তোর একটি মেয়ে আছে তাহলে ওই মেয়েটার এতিম হয়ে যাবে এজন্য। পরে ওর বাবা চাচা চাচি কোরবানির ১৭ দিন আগে এসে ওকে নিয়ে গেল সবার সামনে বসে ওর গয়নাগাটি যা ছিল সব বুঝে নিয়ে গেল (ভিডিও সংযুক্ত) । এর মধ্যে আমার একমাত্র ফুফু মারা গেল বাসা চৌরাস্তা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে আমি তাদের বাড়িতে খবর পাঠালাম একজন লোক দেখতেও আসেনি এবং জানাযায় ও আসে নি। এর কিছুদিন পরে আমার যক্ষা ধরা পড়লো, আমি মীমকে বললাম বাসায় আসো আমার যক্ষা ধরা পড়ছে, সে উত্তর দিল আমাকে নিয়ে আলাদা সংসার না করলে আমি তোমার সংসারে যাব না এটা বলে সে তিন দিন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করলো না, আমি কল দিলাম এসএমএস দিলাম সে ধরল না, পরে ফেসবুকে দেখলাম সে বরগুনা ঘুরতে গেছে তার ফুফুর বাসায় সেখানে বসে সে সুরঞ্জনা পার্ক ও কাশফুল বাগানে গিয়ে tiktok বানায় ও ফেসবুকের শর্টস বানায় ফেসবুকে আপলোড দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমাকে দেখতে না এসে এটা কি করলা সে কোন উত্তর দিল না ফোন কেটে দিল। এর মধ্যে আমার বাবা ওদের বাড়িতে অনেকবার গিয়েছে একবার বসতেও বলেনি আর ও আসেনি। আমি আমার ফুফাতো বোন জোসনা পাকে পাঠালাম জোসনা আপাকে অপমান করে বের করে দিল। আমি বাধ্য হয়ে তাকে তালাকে নোটিশ পাঠালাম। সে নিজে স্বাক্ষর করে রেখেছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। তারপর ফেসবুকে একটি বানোয়াট মিথ্যে গল্প সাজিয়ে প্রমাণ বিহীন একটি পোস্ট করে। শুনেছি নিজের হাত নিজে কেটেছে। পরে একদিন পুলিশ এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেল। তারা নাকি আমার নামে মামলা করেছে আমি তার মেয়েকে কুপিয়ে হাত কেটে দিয়েছি এবং ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়েছি। কিন্তু তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে আপনার স্পষ্ট দেখেছেন সে পাঁচ মাস আমার সাথে থাকে না। তাহলে আমি তার হাত কিভাবে কাটলাম? এইটা আপনাদের কাছে প্রশ্ন। সে থানার ওসিকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমার নামে একটি এজাহার কাটালো। এবং আমাকে গ্রেফতার করালো। বরগুনা থেকে তাদের বিএনপির কিছু কুত্তার বাচ্চা ভাই আসলো প্রিন্স ,মনু ,জসিম। তারা থানায় বসে আমাকে মারতে আসলো আমার দোষ তাঁদের ব** চরিত্রহীন ও খ* বোনকে তালাক দিয়েছি। ওসি দাঁড়িয়ে দেখল যে তারা আমাকে মারতে এসেছে ওসি টাকা খেয়ে তাদের কিছুই বলল না। এখন আপনারা বলতে পারেন ওসি সাহেব যে টাকা খেয়েছে তার প্রমাণ কি?
আমার উত্তর হবে -আমি এই অপরাধটা করেছি কিনা এটা না জেনে বা তদন্ত না করে কেন আমাকে গ্রেফতার করলো? মিঠু মঞ্জু গাজির ছেলে খালিদ সহ আরো কয়েকজন লোক আমি জানিনা বের হওয়ার পরে আমাকে মারতে আসলো, আমি বাসায় ছিলাম না আমার বাসার সিকিউরিটি গার্ড বলল। তারপর সালিশতে বসলাম তারা মীমাংসা করে না, তারা বিভিন্ন ধরনের খামখেয়ালি মূলক কথা বলে চলে যায়, তাদের সাথে এক কুত্তার বাচ্চা আইনজীবী ছিল সে নাকি আবার হজ করে আসছে নুরুল ইসলাম শানু। সে নাকি বিএনপির অনেক বড় নেতা। যখনই মীমাংসার দিকে গেল তখন দেখল সে তো টাকা পাবে না এজন্য সে রাগ দেখাইয়া চেয়ার থেকে উঠে চলে গেল। গেটে গিয়ে মঞ্জু গাজী ও ফারুক গাজী, অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ও মকবুল আহমেদ খানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করল। প্রতিবাদ করলাম বিপরীতে আরেকটি মামলা খেলাম। সব সময় শুনে এসেছি চোরের মায়ের বড় গলা এখন দেখলাম বেশ্যার বাপের বড় গলা। সবাই মিলে দায়দেনা করে দিল ৬ লাখ টাকা দিয়ে দাও রাজি হলাম তার পরেও তারা একটার পর একটা অজুহাত দিয়ে যায়। তাদের দাবি শেষ হয় না। তারা মেয়েকে দিয়ে ব্যবসা শুরু করছে। একটাবার ভাবুন যে একটি তালাকপ্রাপ্ত যুবতী মেয়ে যে বাসায় থাকে সেই বাসায় মিঠুর শ্যালক মুহিত ও থাকে। এবং ফেসবুকে তাদের অনেক ম্যাচিং ম্যাচিং ড্রেসের ছবিও আছে লাভ রিয়েক্ট দেয়া। একবার ভাবুন তারা রাতে বাসায় কি করে। ওটাতো বাসা না ওটা হল পতিতালয়। ফারুক গাজীর এখন ব্যবসা হলো মেয়েকে ভাড়া দেওয়া। ওরা আমার মেয়ে মিফতার সাথেও আমাকে দেখা করতে দেয় না আমাকে কথাও বলতে দেয় না। সব তথ্য প্রমাণ আমি সংযুক্ত করে দিয়েছি আপনারা দেখে বিচার করবেন আমার দোষ ছিল কি আর ওই পরিবার আমার সাথে কি করেছে?
আমি আজকের পর আর থাকবো না আমি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জন্য আমার পরিবার কষ্ট পাচ্ছে। আমার মা যে পর্দা করে তাকেও আসামি দেওয়া হয়েছে আমার বোন ঢাকায় থাকে শুধু ঈদ ছাড়া সে আসে না তাকেও আসামি দেওয়া হয়েছে। আমার বোন এডভোকেট তানিয়া আক্তার কে মঞ্জু গাজী ও প্রিন্স (বরগুনা) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
আমি আজকে আত্মহত্যা করতেছি যদি আপনাদের কারো সাথে আমি কোন অন্যায় করে থাকি সম্ভব হলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমার বাবা আর মাকে বলতে চাই- আপনাদের আমি অনেক ভালবাসি কখনো বলতে পারিনি। আপনাদের জীবনে আমি সুখ শান্তি দিতে পারেনি। আমাকে কখনো ক্ষমা করবেন না আমি একটি ব্যর্থ ছেলে। ভালবাসি বাবা আপনাকে অনেক। ভালোবাসা মা আপনাকে অনেক।
আমার দুইজন বোন আছে নাসরিন আক্তার ও তানিয়া আক্তার। বোনরে তোদের জন্য যে আমার কত মায়া বুঝাইতে পারবো না। কোনদিন তোদের বলতেও পারিনি। তোদের এই অপদার্থ ভাইকে ক্ষমা করে দিস। ঈদে তোদের আর মেহেদী কিনে দেয়ার মত কেউ রইল না। আমার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে তোদের কাছে অনুরোধ আমার বাবা মাকে একটু দেখে রাখিস।
** আমার মেয়ে মিফতা, খুব লক্ষ্মী একটা বাচ্চা।
ওর চার বছর বয়স। আমি পারলাম না ওরে বড় করতে। পারলো না ওর বাপের কামাই খাইতে। বাপের ঘাড়ে উঠে ঘুরতে পৃথিবী দেখতে। বাপের কাছে জিদ ধরে আবদার করতে। বাপের সাথে দুষ্টামি করতে, অভিমান করতে।
মা রে আমারে কোনদিন ক্ষমা করিস না। তুই সারা জীবন আমারে অভিশাপ দিস। তোর বাপের শেষ উপহার তোর জন্য দুটি লাল চুড়ি কিনেছি। তো দাদীর কাছে রেখেছি। যত্ন করে রাখিস। যখন বড় হবি আমার কথা মনে পড়বে তখন এই চুরিটা দেখিস আর আমার জন্য দু ফোটা চোখের জল ফেলিস। আমার দুই বোন নাসরিন ও তানিয়া , আমার মেয়েটাকে দেখে রাখিস। তোরা ছাড়া ওরা কেউ রইল না।
**আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা কেমন আছিস তোরা। আর আড্ডা দেওয়া হলো না। মোল্লা আর তোদের আর কোনদিন কল দিবে না। ভুলে যাস না আমাকে। একটা ছবি রাখিস তোদের ফোনে। নাম্বারটা ডিলিট করিস না। যদি আরেক জনম পাই তোরা বন্ধু হয়ে আসিস আমার জীবনে।
** ছোট বেলায় দাদা মারা গেছে নানা আপনি আমাকে দুটো আদরই দিয়েছেন। সব সময় আপনি আমাকে ভাই বলতেন। আপনার ভাই আর থাকলো না।
**আবার চারটা ভাগিনা আছে। সবাই আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। রুপিত আয়ান আরিজ ও যাইয়ান। বাবারা তোমাদের নানা-নানীকে দেখে রেখো আর তোমার বোনকেও দেখে রেখো।
**জীবনে চলার পথে অনেকের সাথে দেখা হয়েছে বন্ধুত্ব হয়েছে পরিচয় হয়েছে। যদি কারো সাথে কোন বেয়াদবি বা অন্যায় করে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
** মিম তুমি এবং তোমার পরিবার জিতে গেছো। আমার বাবা মাকে সন্তানহারা করেছো। আমার মেয়েকে বাবা হারা করেছো। আমার বোনদের ভাই যারা করেছো। এইবার তুমি শান্তিতে থাকবে আশা করি।
বাংলাদেশে বিচার নাই। বিচার থাকলে আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার আমি পাইতাম। বাংলাদেশের আইন নাকি মেয়েদের পক্ষে। মেয়েরা হাজারটা অপরাধ করলেও তাদের শাস্তি হয় না। সেই সুযোগে মেয়েরা ছেলেদের জীবন নিয়ে খেলে।
এই সমাজের সুশীল ও ন্যায় বিচারকদের কাছে আমার দাবি থাকবে যারা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের শাস্তি আপনারা দিবেন।
আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী ফারুক গাজী, মঞ্জু গাজী, মিম মিঠু গাজী ,খালিদ গাজী ,প্রিন্স, জসিম ,মনু, কালাম মুন্সি ও মঞ্জু গাজী বউ ও মিঠুর বউ নিশাত।
বিনা দোষে বিনা কারণে আমাকে ১০ দিন জেল খাটিয়েছে। এই বিচার জমিনে না হলেও আসমানে ঠিকই হবে।
12/01/1993 থেকে 29/10/2024 একটি জীবনের সমাপ্তি।
গাজী পরিবারকে বলতেছি , মেয়েকে নিয়ে এত গৌরব করা আপনাদের ঠিক হয়নি। আপনাদের মেয়ের জন্য আপনাদের মেয়ের আকামের জন্য, একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেল। ফারুক গাজী সাহেব আপনার ভাগিনারা নাকি জেলা বিএনপির অনেক বড় নেতা।
ক্ষমতায় আসার আগেই আপনারা অনেক কিছু দেখিয়েছেন।
দয়া করে এই নষ্ট চরিত্রের মেয়েকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে ওই ছেলে ও তার পরিবারের জীবন নষ্ট করবেন না। ফারুক গাজী সাহেব, আপনিতো বিষয়টা সবই জানতেন আপনি কিভাবে অন্যায় করলেন আপনি কিভাবে পারলেন একটি ছেলে ও তার পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে। আপনি বিবেকের কাছে ও সমাজের কাছে এটার উত্তর দিয়েন।
আল্লাহ হাফেজ এই নিষ্ঠুর পৃথিবী।
( আপনি যদি জানেন আপনি আজকে মারা যাবেন এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করবেন আত্মীয়-স্বজন সব রেখে চলে যাবেন তখন আপনার ভেতরটা কেমন করবে।
আমার ভিতরটা ও ঠিক একই রকম করতেছে) আল্লাহ আমাকে কষ্টটা না দিলেও পারতো।