পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমূল আহসান বলেছেন যে,স্থানীয় জনসাধারণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিশিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত মহারশি নদীর ভয়াবহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন-কালে এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, “আমি এসেছি, শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় যেসব বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখার জন্য। স্থানীয়দের মতামত এবং টেকনিশিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে অবিলম্বে মহারশী নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।”এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খাঁন, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ. হুমায়ুন দিলদার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ.টি.এম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজিবুল ইসলাম প্রমূখ। উল্লেখ্য যে,প্রতিবছরই মহারশী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মহারশী নদীতে ভাঙন ও বন্যায় ক্ষক্ষতি হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর ভারিবর্ষণ ও ভারত থেকে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ নকলা ও শেরপুর জেলা প্লাবিত হয় এবং নদীর দু’পাড় উপচে ও কাঁচা বাঁধ ভেঙ্গে হাজারো ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলের খেত ও পুকুরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। শেরপুরের মানুষ ১৯৮৮ সনের বন্যার পর আর এমন ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হননি। এবারের পাহাড়ি ঢল ও সৃষ্ট বন্যায় হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষয় ক্ষয়ক্ষতি হয়।