etcnews
ঢাকাTuesday , 16 May 2023
  1. অন্যান্য
  2. জাতীয়
  3. প্রযুক্তি
  4. বানিজ্য
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভিডিও গ্যালারি
  8. রাজনীতি
  9. লাইফস্টাইল
  10. সর্বশেষ
  11. সারাদেশ
  12. স্বাস্থ্য
box ad 6
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলাপাড়ায় চলছে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার চাঁদাবাজি, জিম্মি হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ীরা

Link Copied!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর বাজারে একটি চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চলছে তাদের চাঁদাবাজির বানিজ্য। এ চক্রটির হোতা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যচারে ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কেহ। শুধু চাঁদাবজি নয় বরং মাদক, ইয়াবা এমনকি নারি দিয়ে অসামাজিক কার্যক্রমের সাথেও জড়িত রয়েছে এ চক্রটি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন নিরব থাকলেও বীরদর্পে আবারও চলছে তাদের কার্যক্রম। অথচ এদের অত্যাচারের হাত থেকে নিস্তার পেতে চায় সাধারন মানুষসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই চাঁদাবাজদের কাছে স্থানীয় সকল ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পরেছে। কেহ মুখ খুলতে চাইলে প্রাণ নাশের হুমকীসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় তারা। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাদের কথা মত চলতে হচ্ছে স্থানীয় সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। সলিমপুরে ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিয়েই চলতে হবে। এছাড়া স্থানীয় মুহুরী বাড়িতে নারী দিয়ে অসামাজিক কাজের সাথে ওই চাঁদাবাজ চক্রটি জড়িত রয়েছে বলেও জানা যায়। সেই সাথে চালাচ্ছে মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা। কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ধান ব্যবসায়ীর সাথে চাঁদা নিয়ে ঝামেলা হলে বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে কয়েকদিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ওই চাঁদাবাজ চক্রের প্রধান হোতা। আবারও ফিরে এসে সে তার সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে অত্যাচারের হুলিয়া চালাচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের উপর। সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় একটি ইট ভাটার মালিক তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সেই ভাটার উপর হামলা চালায় তারা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পালিয়ে যায় ওই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। তবে, এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় ক্ষতিগ্রস্থ ওই ভাটার মালিক। তার মতে, ওদের সাথে টক্কর দিয়ে টিকবো কিভাবে? আমাকেতো এখানেই ব্যবসা করতে হবে। ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বড় ধরনের যেকোন ক্ষতি করতে পারে।
নাম না বলার শর্তে সলিমপুর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ওরা বিভিন্নভাবে আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। ওদের যন্ত্রনায় এখানে বেনসন সিগারেট পর্যন্ত কোন দোকানদার বিক্রি করতে পারে না। মটরসাইকেলের জন্য পেট্রল নিয়ে টাকা না দেয়া, দোকানের সিগারেট নিয়ে চলে যাওয়া এমনকি বিকাশে টাকা নিয়েও দেয় না তারা। টাকা চাইতে গেলে ওই ব্যবসায়ীর উপরে চলে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার। কেহ মুখ খুলে প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে নির্যাতনের হুলিয়া।
কলাপাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরোও বলেন, কলাপাড়ায় চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানা জিরো টলারেন্সে রয়েছে।

এই সাইটে কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।