কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বখাটের উৎপাত বেড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্কুল-মাদরাসার ছাত্রীরা। অনেকের মাদরাসায় যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাড়িঘরে হামলাসহ মাকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ৮-১০ জনের বখাটের দল প্রতিদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের এবং রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় অভিভাবক ও উপজেলা প্রশাসন এবং থানা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় থাকায় পার পেয়ে যাচ্ছে বখাটেরা।
শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোদালিয়া সহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, চরকাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, এগারসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়, মঠখোলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মঠখোলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়, পটুয়াভাঙা উচ্চ বিদ্যালয়, নারান্দী উচ্চ বিদ্যালয়, চিলাকাড়া রাশেদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, পাটুয়াভাঙা দাখিল মাদরাসা, মঙ্গলবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা ও মিরদী ফাজিল মাদরাসাসহ কয়েকটি পয়েন্টে কিশোর বখাটেরা ওত পেতে থাকে। এসব এলাকায় প্রকাশ্যে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা হয়।
পাটুয়াভাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বখাটের উৎপাত এখন চরম আকার ধারণ করেছে। বখাটেরা প্রতিদিন আমার মাদরাসার সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদ করলে বখাটে শাকিল, দিদার ও মাহিন মাদরাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাহবুবকে ছুরিকাঘাত করে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এছাড়াও গত ১৭ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে উত্ত্যক্তের শিকার হন উপজেলার কোদালিয়া এলাকার এক মাদরাসা ছাত্রী। এ নিয়ে অভিযুক্তের অভিভাবকের কাছে অভিযোগ করায় বখাটে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এবং ছাত্রীর মাকে মারধর করেন।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে মেয়ের মাদরাসা যাওয়াই বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ