হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ শূণ্য অবস্থায় ফিরে এসেছে উপকূলের মাছ ধরা ট্রলারগুলো।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরে বিভিন্ন নদ নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
জেলেরা জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার হঠাৎ দমকা বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। তখনই মাঝিরা ঘাটের উদ্দেশ্য ট্রলার চালানো শুরু করেন। কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যে বাতাস কমে গেলেও মাছ কম থাকায় তারা ঘাটে ফিরে এসেছেন। আবার বাজার সওদায় করে দুই-এক দিনের মধ্যে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাবেন। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে আগামী দুই দিন উপকূলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে।
সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর-মহিপুর খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে নোঙর করে আছে।এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নদী খালে এবং সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে শতাধিক মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সমুদ্র থেকে ফিরে আসা এফবি তামান্না ট্রলারের মাঝি মোঃ ইউনুচ মাতুব্বর বলেন, ‘শুক্রবার রাত দশটার দিকে হঠাৎ দমকা বাতাস শুরু হয়। আগাম সতর্ক হয়ে ঘাটে ফিরে এসেছি। পাঁচদিন সমুদ্র চষে মাছ পাইনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুই একদিনের মধ্যে সমুদ্র যাব।’
মৎস্য বন্দর আলীপুরের আড়ৎদার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, ‘হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের কারণে মাছ ধরার ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। ‘
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। নদ- নদীতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দুই দিন উপকূলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাছ ধরা ট্রলারগুলো তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।