কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের সড়ক গুলোতে পথচারীদের স্বভাবিক পথচলাসহ যান চলাচলে দুর্ভোগ যেন কিছুতেই থামছেনা। সড়কের উপর যত্র তত্র পাইপ ফেলে বালু সরবরাহ করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী মেয়র, কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করেই পৌরসভার অভ্যন্তরে পাইপ ফেলে সড়ক আটকে বালু ব্যবসা চলছে। তাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মেয়রকে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না নাগরিকরা। তবে পৌরসভার সচিব বলছেন পৌরসভার অনুমতি ছাড়া সড়ক আটকে বালু ব্যবসা করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, শহরের ভূমি অফিস সড়ক, অফিস মহল্লা, রহমতপুর এলাকা, সমাজকল্যান-রহমতপুর-বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তা সড়কে এমন অবস্থার যেন শেষ নেই। মাসের পর মাস ধরে স্থাপনা তৈরী, নিচু জায়গা ভরাটকরনে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা শহর সংলগ্ন আন্ধারমানিক ও দোন নদীতে বালু বোঝাই জাহাজ রেখে সড়কে পাইপ ফেলে বালু ফেলছে। ১৫ দিন, ১ মাস বালু সরবরাহ বন্ধ থাকলেও লেবার খরচ সাশ্রয়ে সড়ক থেকে অপসারন করা হচ্ছে না বড় বড় সাইজের এ পাইপ গুলো। এতে যান চলাচল, পথচারীদের দুর্ভোগ হলেও তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
সূত্রটি আরও জানায়, সড়কের উপর যত্রতত্র ফেলা এসব পাইপে ধাক্কা লেগে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটো, প্রাইভেট, মাইক্রো যান। মাঝে মধ্যে দু’এক পথচারী হোঁচট খেয়ে আহত হচ্ছে। বেশী দুর্ভোগে পড়ছে প্রসূতি নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা।
পৌরশহরের অটো চালক জলিল বলেন, বালুর পাইপের কারনে শহরে ঠিকমত অটো চালাতে পারিনা। পাইপের উপর দিয়ে গাড়ী ওঠা নামায় যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা নিয়ে আমরা কার কত কমু?, কেউ কালা মিরাজের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।
বালু ব্যবসায়ী কালা মিরাজ বলেন, ’জাহাজ এলে আর ১ জাহাজ বালু ফেলে ১০-১২ দিনের মধ্যে পাইপ সরানো হবে।’
কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বলেন, ’কেউ তো এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’