etcnews
ঢাকাMonday , 29 May 2023
  1. অন্যান্য
  2. জাতীয়
  3. প্রযুক্তি
  4. বানিজ্য
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভিডিও গ্যালারি
  8. রাজনীতি
  9. লাইফস্টাইল
  10. সর্বশেষ
  11. সারাদেশ
  12. স্বাস্থ্য
box ad 6
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মহিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন

etcnews
May 29, 2023 2:55 pm
Link Copied!

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুরে এক স্কুল শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ মামলা দিয়ে নানা রকম হয়রানির অভিযোগে সোমবার সকাল ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করেন, তার প্রতিবেশী কয়েকজন ভূমি লোভি প্রতারকরা একত্রিত হয়ে নিজেদের রেকর্ডীয় জমি থাকতেও ভূমি প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়ে রেকর্ডীয় জমি দখলসহ অতিরিক্ত সরকারি জমি দখলে নিয়ে কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই ভূমি খেকো প্রতারক চক্রের প্রতারণা, মামলা হয়রানি বন্ধে ভূমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা আকতারুন্নেছা।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ১১৭ নং আমজেদ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকতারুন্নেছা করেন, কলাপাড়া উপজেলার জেএল ২৬ নং শিববাড়িয়া মৌজায় এস এ ১৭৪ ও ১১০ নং খতিয়ানের ৩১০২ নং দাগে ১৪ শতাংশ এবং ১৭৯ ও ২৩৬ নং খতিয়ানের ৩১০২ নং দাগে ৫ শতাংশসহ মোট ১৯ শতাংশ রেকর্ডীয় জমিতে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপুর্ন ভাবে বসবাস করলেও প্রতিবেশী আকলিমা বেগম ও তার ছেলে মোঃ আশ্রাফ বাবুল মুন্সী, ফারুক মুন্সী গংরা আমাকে বিভিন্নভাবে অকারণে হয়রানি করছেন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি এই অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) স্বরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়ছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিবেশী আকলিমা নুর ইসলাম দম্পতি ৪২ শতক জমির রেকর্ডীয় মালিক হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া ভূমিহীন পরিচয়ে তৎকালিন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় আমার বসত বাড়ির মধ্যে খাস জমিসহ ৮০ শতক জমি বন্দোবস্ত নেয়। তার ছেলেরা মোঃ আশ্রাব বাবুল মুন্সী, ফারুক হোসেন, আবুল হোসেন, আবু তাহের এসএ ৮৬নং খতিয়ানের ৩১০২নং দাগে ০.২৯ একর, ৩১০১নং দাগে ০.০৮ একর রেকর্ডীয় জমির মালিক থাকা সত্ত্বেও খালের পাড়ের ২০ শতক খাস জমি দখল করে সারিবদ্ধভাবে পাচটি বিশালাকৃতির ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। দখলকৃত ওই জমি তাদের নামে বন্ধোবস্তো না থাকলেও জোরপূর্বক ভোগদখল করে রাখে আইনবহির্ভূত ভাবে। আমি ও আমার পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি পরিবারের পানি নিষ্কাশন, পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে বছরে অধিকাংশ সময় পানিবন্ধি হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত, অসাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করতে হয় আমাদের।
এছাড়াও মহিপুর থানা, বন বিভাগ ও কোস্টাল কমিউনিটি সেন্টারের নামে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। যেখানে আমাদের জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। ওই অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা যাতে আমরা উত্তোলন করতে না পারি এজন্য এল অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রেখেছে। বন বিভাগ, থানাসহ আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমার বসতবাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় আমার বসতবাড়ি কোল ঘেষে পুকুর খনন করে। অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় বাড়ি ঘরের মাটি ভেঙে পড়ছে। সেখানে এখন বসবাস করা দূরহ হয়ে পরেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকতারুন্নেছা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামী নেই। বাড়িতে মহিলা মানুষ একা থাকায় নানা ধরনের ভয়ভীতিসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ভূমি খেকো জাল জালিয়াত ও প্রতারক চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এই শিক্ষিকা।

এই সাইটে কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।