প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, এ বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের কিছুই করার নেই। রবিবার বিকেল গণভবনে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিস্তা প্রকল্পের কাজ ভারতের পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার এ ধরনের আন্দোলন হয়েছিলো, সে সময় কোটা বাদ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু দেখা গেলো গত বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে দু’জন আর পুলিশে মাত্র চারজন নারী সুযোগ পেয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আদালতে যখন কোনো রায় হয়, তখন কিছু করার থাকে না। কোর্টের বিষয় কোর্টেই সমাধান হতে হবে।
কোটা বিরোধীরা আইন, আদালত মানছে না। সংবিধান চিনছে না। এমননি সরকার কীভাবে চলে তার কোনো ধারণা তাদের নেই। তবে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কিছু করলে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে আইন আপন গতিতে চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করে হাতেনাতে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া চলবেই। দুর্নীতির ক্ষেত্রে আপন পর দেখে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।