পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তস্বত্তা নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। এতে আহত ওই অন্তস্বত্তা তাজনাহার বেগম’র (২২) এর পেটের সন্তান নষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চর ধুলাসার গ্রামের সলেমান সিকদারের পুকুর হতে প্রতিবেশী কাওছার হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোর পূর্বক মাছ ধরতে আসলে এ ঘটনা ঘটে। অন্যান্য আহতরা হলেন, সলেমান সিকদার (৪৫), তার স্ত্রী তাছলিমা (৩৭), ছোট মেয়ে সাদিয়া (১৮) ও মেয়ে জামাই ইলিয়াস আকন (২৩)। এবিষয়ে আহত সলেমান সিকদার বাদী হয়ে সাত জনকে আসামী করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনীতে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ১ নং আসামী কাওছার হাওলাদারসহ অন্যান্য আসামীগন বাদী সলেমান সিকদারের বাড়ীতে আসেন। তারা জোর পূর্বক বাদীর পুকুর থেকে মাছ ধরার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে সলেমান সিকদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর ও আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর ও আহত করে। এতে সলেমান সিকদারের বড় মেয়ে অন্তস্বত্তা তাজনাহার বেগমকেও মারধর করে রক্তাক্ত ও জখম করা হয়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে অন্তস্বত্তা তাজনাহার বেগমের পেটের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে ওই পরিবারটি সন্ত্রাসীদের ভয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বাদী সলেমান সিকদার জানান।
মামলার বাদী সলেমান সিকদার বলেন, কাওছার হাওলাদার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওইদিন আমার বাড়িতে জোর পূর্বক মাছ ধরতে আসে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে রক্তাক্ত ও জখম করে। তাদের মারধর ও অত্যাচারে আমার বড় মেয়ের পেটের সন্তান নষ্ট হয়। আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে মামলার ১ নং আসামী কাওছার হাওলাদার জানান, সলেমান সিকদার ও তার জামাতার কাছে আমি ধার বাবদ কিছু টাকা পাই। সেই টাকা চাইতে গেলে কথা কাটা ও সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে, মাছ ধরার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, এবিষয়ে আদালতের কোন আদেশ পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।