ট্রেন ধরার ঠিক আগের মুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। আশেপাশের সকল যাত্রী ছুটে গেলেন। বোঝা গেল তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হওয়ায় কোনো রকমে বেঁচেও গেলেন তিনি। কিন্তু তারপর যা ঘটল তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। হার্ট অ্যাটাক থেকে উঠেই ব্যক্তি ছুটলেন অফিসে। ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। খবর দ্য ওয়ালের।
মধ্য চীনের ছাংসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল ওই ব্যক্তির। প্রতিদিনের মতো অফিস টাইমে ভিড় ছিল স্টেশনে। এরই মধ্যে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৪০ বছর বয়সী ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরাধরি করে একটু ফাঁকা জায়গায় আনা হয়। স্থানীয় কিছু যাত্রীরাই ডাক্তার ডাকেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে চিকিৎসকরা এসে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করেন। ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যক্তির জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন তাঁরা।
মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেই ওই ব্যক্তি বলতে শুরু করেন, ‘আমার দেরি হয়ে গেল। অফিস যেতে হবে এখনই…!’ এই কথা শুনে হতবাক হয়ে যান সেখানে উপস্থিত সকলেই। চিকিৎসকরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তো রয়েছেই তার সঙ্গে পড়ে যাওয়ার ফলে তাঁর মাথাতেও চোট লেগেছে। তা থেকেও মারাত্মক অসুস্থতা হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তি স্পষ্ট জানান, তার কোনো চিকিৎসার দরকার নেই, তিনি একদম ঠিক আছেন, অফিস যাবেন। যদিও বারবার বোঝানোর পর তিনি অবশেষে হাসপাতালে যেতে রাজি হন।
গত কয়েক বছরে চীনের বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে, ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিক্টিক্সের রিপোর্ট বলছে, গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১৬-২৪ বছর বয়সী বেকারদের সংখ্যা ১৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। একই সঙ্গে, বেসরকারি সংস্থা বা আইটি সেক্টরের একাধিক অল্প বয়সী কর্মীর পরপর মৃত্যুর ঘটনাও আতঙ্কিত করেছে সাধারণ মানুষকে।
চীনের এই সাম্প্রতিক ঘটনা দেখেও নেটিজেনরা বলছেন, এমন অবস্থা তার একার নয়। আরও অনেকে রয়েছে যাদের অবস্থা একই রকম। সবকিছু ছেড়ে কাজের পেছনে ছুটতে হচ্ছে।