সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এই ১১৯ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৫০ জনই ১৯৮২ ব্যাচের। তবে একই ব্যাচের হওয়া সত্ত্বেও এই তালিকায় নেই অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনের নাম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখালেখি করছেন তিনি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালেও এ পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মিলন। এতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পাঠকদের সুবিধার্থে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যার! পদোন্নতি বঞ্চিত কমিটি থেকে প্রথমে আমাদের সবাইকে বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা হবে না। কারণ অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদোন্নতি প্রাপ্ত পদ। আমরা অতিরিক্ত সচিবরা তা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ১১৯ জনের মধ্যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৫ জনই একই ব্যাচের। এর মধ্যে অনেকেই কোনো প্রকার বঞ্চনার স্বীকার হননি। স্যার, আপনার কাছে প্রশ্ন-
১. পাঁচ সদস্য কমিটির তিনজন সদস্য অতিরিক্ত সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিব। তিনজন অতিরিক্ত সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিব, সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা রাখে কি না। এমনকি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করতে পারে কি না।
২. যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তাদের কে কতটুকু বা আদৌ বঞ্চনার স্বীকার হয়েছিলেন কি না, তা তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৩. এই কমিটির সম্পূর্ণ সুপারিশ প্রকাশ করা হোক।
স্যার, আমাদের পাওয়ার আর কিছু নেই। কিন্তু বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি কি না, তা জানার অধিকার আমাদের সবার আছে।’
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৯ জন।