আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগ কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজরা ফিরছে নতুন রুপে, নতুন করে । তারা খোলস বদলিয়ে হয়ে গেছে বিএনিপির কর্মী ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র এবং ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষন করে জানা যায়, গত বুধবার সাবেক আওয়ামীলীগ কর্মী বর্তমানে নব্য বিএনপি কর্মী চানু মিয়া তার দলবল নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার সতেরপাড়ায় অবস্থিত লান্তাবুর টেক্সটাইল লিমিটেড এর গেটে অবস্থান নেয়। তারা হট্টগোল করে লান্তাবুর টেক্সটাইলের কর্মকর্তাদের পথরোধ করে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা নিশ্চিত করার জন্য তিন দফা দাবী করে, দফা একঃ তাদেরকে তুলার গাড়ি প্রতি টাকা প্রদান করতে হবে। দফা দুইঃ তাদের দ্বারা জমি ক্রয় বিক্রয় করতে হবে। দফা তিনঃ তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের চাকুরী দিতে হবে। এসময় চানু মিয়ার সাথে উপস্থিত ছিলেন, মজনু মিয়া, মকবুল হোসেন, মোতালিব (মফিজুল), ইছর আলী, বাবুল, ফারুক ও ফাকরুল।
এলাকায় কথিত আছে পূর্বে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতো শ্রমিকলীগের সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমন এর সাথে। তখন শ্রমিকলীগের পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। ৫ আগস্টের পর এরা কয়েকদিন চুপচাপ ছিলো। কয়েকদিন হলো খোলস বদলিয়ে তারা যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জুয়েল এর কর্মী বলে নিজেদের দাবী করছে। এবং বিভিন্ন যায়গায় চাঁদাবাজি শুরু করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ ঘটিকায় ত্রিশাল থানার কাছেই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও এলাকার আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক মেম্বার খালেক গ্রুপের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। একই দিন রাত ১২ টায় পূনরায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে আউলিয়া গ্রামে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল ভুইয়া বলেন, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জুয়েল অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। কেউ হয়তো তার নাম ভাঙ্গিয়ে এই কাজ করলে, প্রশাসনের প্রতি স্পষ্ট বক্তব্য, আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমরা কোন চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি না এবং দেবো না। আমাদের দলের কোন নেতা কর্মী যদি এ ধরনের কাজে জড়িত থাকে তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। আমার কর্ম এলাকায় কোন প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না। কেউ এ ধরনের কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।