কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পন্য দ্রব্য পরিমাপে ৪০ কেজি মন হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে মানদন্ড নির্ধারন থাকলেও ধান বিক্রির ক্ষেত্রে ৪৮ থেকে ৪৯ কেজিতে মন হিসেবে মূল্য পাচ্ছে কৃষকরা। এর প্রতিবাদে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪০ কেজিতে মন ও ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণসহ একাধিক দাবি নিয়ে কৃষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় কৃষকসহ সাধারন মানুষ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে পাখিমারা বাজারে এই কৃষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক জিএম মাহবুবুর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখার সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য কমরেড নাসির তালুকদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাজুল ইসলাম, সদস্য মো: আ: হক গাজী ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. নাসির উদ্দীন বিপ্লব প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাপ ৪০ কেজিতে মন থাকলেও কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্র কৃষকদের ঠকিয়ে ধানের মন নেওয়া হয় ৪৮ /৪৯ কেজিতে। এছাড়া অন্যসব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ৪০ কেজিতে ক্রয় বিক্রয় হলেও শুধু ধান কেনার সময় ৪৮/৪৯ কেজিতে ক্রয়ের সাথে জড়িত একদল সিন্ডিকেট চক্র। বক্তারা আরোও বলেন, কৃষকদের প্রতিকেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩১ টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারনে সেই ধান বিক্রি করতে হয় ২০ টাকা কেজী দরে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের প্রতিকেজিতে ১১ টাকা ক্ষতি হয়। যে কারনে কৃষকরা ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে তারা জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ধানের দাম ১২০০ টাকা নির্ধারণ করলেও তা গোডাউনে বিক্রি করার মত সুযোগ কৃষকরা পাচ্ছেনা। সেখানেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বক্তারা ৪০ কেজিতে মন, ধানের লাভজনক দাম, সরকারি ভাবে ধান ক্রয় নিশ্চিত করতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়ক ধরে পাখিমারা বাজার প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গনমাধ্যমকর্মী নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন)।