মো: মনিরুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মৌডুবী বাজার থেকে ভূ’ইয়া কান্দা জামে মসজিদ পর্যন্ত এলজিইডি’র একটি সড়কের মেরামতের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তরিঘড়ি করে কাজ করার কারণে কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবং সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় স্থানীয় জনগণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার কাজ খারাপ হচ্ছে। ঠিকাদার জোর করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার কাজের শুরু থেকে ঠিকাদার পচা ইটের গুরা দিয়ে কাজ করেছে এবং জাহাজমারার লবণক্ত বালুও ব্যবহার করা হয়েছে এই রাস্তায়। এখন আবার লালচে খোয়া ও মাটির মধ্যে কার্পেটিং চলছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোন কাজে আসছে না বলে জানান তারা। যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে মামলার হুমকি ধামকি দিচ্ছে ঠিকাদার জুয়েল। তাই তারা স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সরকারের উপরস্থ কর্মর্কাতাদের বিষয়টি জরুরি ভাবে দেখার অনুরোদ করছেন। তারা আরও জানান, এক মাস পরে জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচন হবে বর্তমানে রাস্তা ঘাট ঠিক ঠাক মতো না করলে সরকারের বদনাম হবে। এই রাস্তার কারণে এলাকার জনগন নৌকা মার্কায় ভোট দিবেনা বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় জনগণ। আমাদের মনে হয় ঠিকাদার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এরকম খারাপ কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা সরকারের সকল প্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে করে রাস্তা ঠিক ঠাকমতো করা হয়।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে এলজিইডি,র গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের আওতায় ৮৫ লক্ষ টাকায় ৩.৫ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের কাজ পায় পটুয়াখালীর মের্সাস আমির এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ শে নভেম্বর। তাই তরিঘড়ি করে সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী প্রাইমকোট দিয়ে কার্পেটিং করার নিয়ম থাকলেও তা না করে সামান্য ভিটুমিন ব্যাবহার করে কার্পেটিং এর কাজ করছে।
রাস্তার কাজের ঠিকাদার মো. আমির হোসেন সংবাদ কর্মীকে বলেন, তোর কাজ ছবি তোলা তুই ছবি তুলে তোর যা করার কর। এদিকে ঠিকাদারের কাজের দায়িত্বরত জুয়েল বলেন, সিডিউল অনুযায়ী আমাদের রাস্তার কাজ হচ্ছে ১০ ফুট করা সেখানে আমরা ১১ ফুট করতেছি। তাহলে আমরা কাজ একটু কম করবো তানা হলে বাড়ি থেকে এনে করবো।
এব্যাপারে মৌডুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হাসান (রাসেল) বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে আমি জানতে পারছি আমি এলজিইডি অফিসে কথা বলছি। এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেক।
কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) আমি আশার আগে যতটুকু কাজ খারাপ করেছে আমি আশার পরে এখন ভালো করছে। এবং চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করেছে আমার জানা নাই। আমি ব্যাস্ত আছি আপনাকে আমি কোন তথ্য দিতে পারবোনা। আপনি জুয়েল ঠিকাদার আছে তার কাছ থেকে জেনে নিন।
এব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় কাদা মাটি ছিল একারণে চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী কাজ বন্দ করে দিয়েছে। আমি কাজের কাছে আসছি ওই গুলো পরিস্কার করে কাজ করা হবে। আমি আশার পরে ভিটুমিন দিচ্ছে এবং কাজ ঠিকমত হচ্ছে।