কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও মহিপুর নিয়ে গঠিত ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী অফিসারের কাছে এসকল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া হয়। এরমধ্যে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রি ও কলাপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আ.লীগের সদস্য ব্রীগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আ.লীগের উপকমিটি’র সাবেক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি পুত্র মরহুম আনোয়ার উল ইসলাম মিয়ার পুত্র আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এরআগে গতকাল বুধবার দুপুরে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিব তার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া পটুয়াখালী রির্টানিং অফিসারের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মন্নান হাওলাদার ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী জাহাঙ্গির হোসাইন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে বলে জানা যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমূখর ও প্রতিদ্বন্ধিতামূলক করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহন করছি। জনগনই সমস্ত ক্ষমতার উৎস। তারা যাকে এ জনপদের জন্য উপযুক্ত মনে করবে তাকেই নির্বাচিত করবে। এবারের নির্বাচনে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে তাকে জয়যুক্ত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্য মতে “বাগানে হাজারো ফুল ফুটবে, সেখান থেকে ভালো ফুলটি তিনি বেছে নিবেন। তবে, এবারের নির্বাচনে ফুল বেছে নেয়ার বিষয়টি তিনি জনগনের উপরে ছেড়ে দিয়েছিন। জনগন ভোটের মাধ্যমে উপযুক্ত ফুলটিকে বেছে নিবেন। একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এ জনপদের জনগন তাকে ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করবে বলে তিনি আশা করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহাকারী রির্টানিং অফিসার মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমার কাছে এপর্যন্ত মোট ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা রির্টানিং অফিসারের কাছে দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। এবারের নির্বাচন খুব উৎসব ও প্রতিদ্বন্ধিতামূলক হবে বলে তিনি আশা করেন।