কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে এখন জাহাঙ্গীর আতংক। এতে ভেঙ্গে পড়েছে শৃংখলা, বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মশালচি পদের কর্মচারী জাহাঙ্গীর হোসেনের ক্ষমতার দাপটে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কোন কর্মকর্তা কর্মচারী তার কথা না শুনলে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে অপমান লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগী ভর্তি, রোগীর খাবার, রোগীর ছুটি, ও জখমী সনদসহ সকল কিছুই সহজে পেতে যোগাযোগ করতে হয় জাহাঙ্গীরের সাথে। গত বছর চতুর্থ শ্রেণীর কয়েকটি পদে আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত হয়। আর এতে করে বাণিজ্যে মেতে উঠে জাহাঙ্গীর। চাকরি প্রার্থী কিছু লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জাহাঙ্গীর।
বিষয়টি জানাজানি হলে আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ করা হয়। চাকরি প্রার্থীরা চাকরি না হওয়ায় জাহাঙ্গীরের কাছে টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে চাকরিদাতা এবং চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।। জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চাইলে জনৈক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লেখ করেন, জেলা সিভিল সার্জনের সাথে জাহাঙ্গীরের সখ্যতার কথা।
এ বিষয়ে আলাপ করলে হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি জানান জাহাঙ্গীরের পদ নিম্নমানের হলেও সে সকল দপ্তরেই খবরদারি করে।তারা আক্ষেপের সাথে বলেন জাহাঙ্গীরের কথা শুনতে আমরা বাধ্য,কারণ অকারনে অশ্লীল কথাবার্তা বলে আমাদের কে অপমান লাঞ্ছিত করে। এ কারণে সম্মান টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্জন ডাঃ মুকিৎ (ভারপ্রাপ্ত টিএইসও) শুন্যপদের কথা স্বিকার করেন।কিন্তু জাহাঙ্গীরের বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
হাসপাতালের জনৈক কর্মচারী জানান,জাহাঙ্গীরের খুটির জোর কোথায়,সে লাফ দিয়ে চাদ ধরার চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে,এই সিন্ডিকেটের কারনে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের শৃঙ্খলা ভেঙে পরায় এর প্রতিকার চেয়ে জনৈক তুষার আহমেদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেছেন।