কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ বুধবার দুপরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুব আলম বলেছেন, বেতন বৃদ্ধির দাবীতে গত কয়েকদিনে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেখানে শিল্প কারখানার শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে একটি কুচক্রী মহল ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আশাবাদী শিল্প কালখানার শ্রমিকরা কখনোই নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের মতো এসব কাজ করতে পারে না। তাদের কৌশলে ব্যবহার করে মহাসড়কে অগ্নিকান্ড ভাঙচুর বিক্ষোভের ঘটনায় জড়িতরা স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বেতন বৃদ্ধির দাবীতে শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় অগ্নিকান্ড ও ভাংচুরকৃত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের সাথে কারখনার মালিক পক্ষের সমন্বয়ের সিস্টেম রয়েছে। সেই সিস্টেমে বাহিরে গিয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ, অগ্নিকান্ড সৃষ্টি করতে পারে না। শিল্প শ্রমিকদের উপর ভর করে গত কয়েকদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ও পুলিশের উপর যারা হামলা করেছে তাদের কেউ আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না।
তাদেরকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। আর শ্রমিক ভাই বোনেদের প্রতি আমরা বিশেষ ভাবে অনুরোধ করব তারা যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করে। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবু ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সানোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম
সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, উপজেলা (সহকারী) কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম অনিন্দ্র গুহ, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খানসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৩১অক্টোবর) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। এ সময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা উপজেলার সফিপুর ও চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ১টি কারখানা, ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও তানহা হেলথ কেয়ার নামে একটি হাসপাতাল ও শতাধিক দোকানপাট ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।