কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৮ম দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে মহাসড়ক অবরোধ করে বেতন বৃদ্ধির দাবীতে আন্দোলনে নামেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ।
গতকাল দুই শ্রমিক নিহতের বিচার দাবীতে ফুসে উঠেছে পোশাককারখানার শ্রমিকরা।এসময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার তেলিপাড়া থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত দখলে রেখে তান্ডব চালায় তারা।আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। এতে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা সফিপুর বাজারে তানহা হেল্থ কেয়ারে ব্যাপক ভাংচুর চালায়,সফিপুর বাজারস্থ পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়া মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি, চন্দ্রা হাইওয়ে পুলিশ বক্স,সফিপুর বাজারের শতাধিক ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে ও উপজেলার বোর্ডমিল এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিলে কারখানার ভিতরে থাকা ৫০টি মোটর সাইকেল, ৩টি মাইক্রোবাস,৫টি প্রাইভেটকার ও ২টি কভার্ডভ্যান ভস্মিভূত হয়।বেলা ১১টার দিকে চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক কারখানার সামনের
শোরুমে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়,এছাড়া শোরুমের সামনে থাকা একটি পিকআপ মহাসড়কে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে শোরুমে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়।এপর দুপুর ২টায় হরিণহাটি এলাকায় মহাসড়কে মালবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।এঘটনার আগে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উপজেলার মৌচাক ও সফিপুর এলাকার অন্তত ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হলেও বিক্ষুব্দ শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে নিবৃত করা যায়নি বলে জানা যায়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে ততপর রয়েছেন বলে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানিয়েছেন।