ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বউ না নিয়েই ফেরত গেছে বরপক্ষ। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও কনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার চরব্রহ্মনদী ভেন্নাতলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার প্রায় এক বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাবিন হয়। এরপর গত ৪ এপ্রিল বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রীতিমতো ১২০ জনের মতো বরযাত্রী আসে। ৪/৫ শত লোকের আয়োজন করা হয়। পরে বিয়ের গেটে ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষের লোকজন পার্টি স্প্রে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েপক্ষের একজন ছেলে পক্ষের এক ব্যাক্তির টাক মাথায় বিপুল পরিমাণ পার্টি স্প্রে দেন। এ নিয়ে বরপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কনের বাবা ও চাচাকে মারধর করেন। এ সময় ছেলেপক্ষের একটি মাইক্রোবাসের পেছনের কাচ ভাঙচুর করে মেয়েপক্ষ। একপর্যায়ে বরযাত্রীরা বউ না নিয়ে ফেরত চলে যান।
কনের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর বলেন, বিয়ের গেটে একটু আনন্দ-উৎসব ও পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি হয়। আমি বরপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বরপক্ষের লোকজন খাবারের প্যান্ডেলসহ চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত ভাঙচুর করে। খবার ফেলে দেয়। পরে তাদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তারা ফেরত চলে যায়।