etcnews
ঢাকাTuesday , 18 March 2025
  1. আইন-আদালত
  2. ইসলাম
  3. ক্যাম্পাস
  4. জাতীয়
  5. প্রযুক্তি
  6. বানিজ্য
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. রাজনীতি
  10. লাইফস্টাইল
  11. সর্বশেষ
  12. সারাদেশ

যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন, খুলছে নতুন দ্বার

etcnews
March 18, 2025 10:21 am
Link Copied!

অনেক প্রতীক্ষার পর যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেন ছেড়ে যায়। এর আগে বেলা ১১টায় রেলস্টেশন চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেল সেতু উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি, জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নবনির্মিত যমুনা রেলসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও অন্যান্য অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

ফাহিমুল ইসলাম বলেন, সেতুর দুটি লেনের একটি ব্যবহার করে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল ট্র্যাক ডুয়েলগেজ সেতুর একটিতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। অত্যাধুনিক ইস্পাত প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মিত এ সেতুর স্থায়িত্ব ১০০ বছর। এই কাঠামোটি ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রমাণ’।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে উদ্বোধনী ট্রেনের অতিথি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সকাল ১২টা ১০ মিনিটে পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে সয়েদাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে যায়।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেলসেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়।

পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল।

নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৩৮টি ট্রেন প্রতিদিন তুলনামূলক ধীরগতিতে যাতায়াত করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘যমুনা রেলসেতু পার হতে ট্রেনের আগের তুলনায় কম সময় লাগবে। এতে উভয় দিকে সময় সাশ্রয় হবে।’

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ২০২০ সালে ডেডিকেটেড রেলওয়ে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং একই বছরের ২৯ নভেম্বর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা, যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ব্যবহারের জন্য ট্রেনযাত্রীদের পন্টেজ চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে, যা পদ্মা সেতুতেও আদায় করা হয়।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি রুটভিত্তিক ভাড়া চার্ট তৈরি করেছে যার অধীনে পন্টেজ চার্জ আদায়ের জন্য ট্রেনের আসনের শ্রেণির ওপর নির্ভর করে সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হবে।

এই সাইটে কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।