হত্যাকারীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিচারের নামে প্রহসন চলছে, ছাত্রদের হয়রানি করা হবেনা বলা হলো অথচ ঢাকায় ৮৭% গ্রেফতারকৃতই অরাজনৈতিক, ছাত্র! আবু সাঈদকে হত্যার দায় দেওয়া হলো ১৬ বছরের কিশোরকে! পুরোনো স্টাইলে নিপীড়ন দিয়ে আন্দোলন রুখতে চায় সরকার। কিন্তু এবারের আন্দোলন সকল পুরোনো স্টাইলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। রাজনৈতিক ট্যাগ-ব্লেম দিয়ে দমনের, খুনকে বৈধতা দেওয়ার অব্যর্থ ঔষধ এবার ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্রদের বিপদে জনতা পাশে দাঁড়িয়েছে, গণগ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আমাদের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুখে দাঁড়িয়েছেন। দমন-পীড়ন দিয়ে এই জোয়ার রুখতে পারবেন না। সময় থাকতে আমাদের দাবিগুলো নিঃশর্ত ভাবে মেনে নিন। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত সকল ছাত্র-জনতাকে মুক্তি দিতে হবে। প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী সকলকে জবাবদিহি করতে হবে। এই জেনারেশনটা ভিন্ন ছাঁচে গড়া। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে বুলেটের সামনে বুক পেতে প্রতিরোধ করতেও পিছপা হয় না। এদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে পরিণতি হবে পরাজয়। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান থাকবে এই অন্যায় প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিগুলো সফল করুন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান এই নগ্ন হত্যাকান্ড ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান।