মোঃ গোলাম মাওলা, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানায় গত ২৭ মে ২০২৩ তারিখে অফিসার ইন-চার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ শহিদুল ইসলাম। যোগদানের পর থেকেই তার চিন্তা-চেতনা কাঠালিয়া থানার অবস্থা পূর্বে কি ছিল এটা ভেবে লাভ নেই বর্তমানে আমার নিজের মনোভাব এবং ইচ্ছা হল কাঠালিয়া উপজেলা কে কিভাবে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, ধর্ষণ সহ দালাল মুক্ত করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য।
কাঠালিয়া উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো:তরুণ সিকদার তিনি বলেন যে কাঠালিয়া থানায় এর আগে আইন-শৃঙ্খলার খুব অবনতি ছিল।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের চুরি ডাকাতি ক্রমশায় বেড়ে চলছিল। চুরি ডাকাতি এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতির বিষয়ের কারণে পূর্বের ওসি মোহাম্মদ মুরাদ আলীকে শাস্তিযোগ্য বদলে দিয়েছেন আমাদের বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি মো:আখতারুজ্জামান। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন এমপি”কে আমরা বলেছি যে আমাদের কাঠালিয়া উপজেলা কে সুরক্ষিত রাখতে হইলে একজন ভালো অফিসার ইনচার্জ দরকার। পরে এমপি মহোদয় বলল যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দেখি একজন ভালো অফিসার ইনচার্জ দিলে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও আমার কাঁঠালিয়া উপজেলা বাসি শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে যে কাঁঠালিয়া উপজেলাতে মাদকের আখড়া কিন্তু পূর্বে বেশি ছিল এখন বর্তমানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ তাই বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম তাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাবো যে মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং কাঁঠালিয়া উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমাদের যদি কোন সহযোগিতা লাগে আমরা সবসময় সহযোগিতার জন্য রয়েছে।
নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো:শহিদুল ইসলামের যোগদানের বিষয়ে কাঠালিয়া প্রেসক্লাব কাঠালিয়া ও কাঁঠালিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মোঃ বাদল হাওলাদার বলেন আমরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ এর কাছে অনুরোধ করবো যে আমরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ের মাঠে-ঘাটে কাজ করি আমাদের প্রতিপক্ষতা থাকতেই পারে তাই আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা কোন কথা বললে পুঙ্খানু তদন্ত করে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি সেই সাথে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, ধর্ষণ সহ দালাল মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি তাতে যদি আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের কোন সহযোগিতা লাগে আমরা সবসময় আপনার পাশে রয়েছি।
কাঠালিয়া প্রেসক্লাব কাঠালিয়া ও কাঁঠালিয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার বলেন, পূর্বের ওসি মো: মুরাদ আলী তিনি আমাদের অনেক সাংবাদিককে অযথা হয়রানি করেছেন এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও মাদক কারবারি সংখ্যা রাস পেয়েছিল।তাই তাই আমাদের বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে কাঁঠালিয়া থানা এরিয়া মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, ধর্ষণ সহ দালাল মুক্ত করার জন্য আপনি একটু সোচ্চার হবেন। তাতে যদি আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের কোন সহযোগিতা লাগে আমরা সবসময় আপনার পাশে রয়েছি।
কাঠালিয়া উপজেলার জনসাধারনের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে যে কাঠালিয়া উপজেলার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে আইনি সহযোগিতা পৌঁছে দেবে সকলের দ্বারে। পূর্বে কাঠালিয়া থানা এরিয়া ১নং চেচরীরামপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে বানাই গ্রামে বড় বাড়ি নামক একটি স্থানে নূরানী মাদ্রাসা নিয়ে দুপক্ষের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম সরজমিনে গিয়ে সান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং সফলতা আনবে। কাঠালিয়া থানায় পূর্বে সাংবাদিক সাইনবোর্ডধারী দালাল ছিল যারা বিভিন্ন মিডিয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যর সাথে হাত মিলিয়ে তাদের দালালির কার্যক্রম চালিয়ে যেত ক্ষতিগ্রস্ত হতো যেন সাধারণ। দেখা যেত কাঠালিয়া থানা তে কোন প্রকারে অভিযোগ, মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করতে আসলি দালালের খপ্পরে পড়ে পড়তে হতো এবং ওই নামধারী সাংবাদিক প্রত্যেক অভিযোগের ফোরম্যান হয়ে নিজেকে লাভবান হয়।বদনামের ভাগীদার হতো কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ। সাধারণ জনগণ প্রাণের দাবি যে কাঠালিয়া থানা কে মাদক মুক্তসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং কাঠালিয়া থানায় কোন প্রকারের দালাল প্রশ্রয় না পায় এর জন্য বিশেষ অনুরোধ করছে জনগণ বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম কাছে।
