অনলাইন জুয়ার ফাঁদে কোটিপতি হওয়ার লোভে নিঃস্ব ঈশ্বরগঞ্জবাসী। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এখন অনেক কিছুই সহজ, জীবন হয়েছে আধুনিক ও সহজলভ্য। আবার এই তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে অনেকে আবার ধ্বংস হতে বসেছেন অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইলে। এই অনলাইন জুয়া তেমনি এক সর্বনাশা ফাঁদ। অল্প সময়ের মাঝে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার লোভে এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে হাজার মানুষ এমনকি সর্ব শান্ত হয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও চোখে পড়ছে। বাংলাদেশে জোয়ানিষিদ্ধ হলেও এটি চলতে বহুতালীয়ভাবে। খুব সহজে এই খেলা পরিচালনা করতে পারে, লাগে না নির্ধারিত কোন ক্লাব,লাগে না সাজ সজ্জ্য লাগে না নিরাপত্তা যেখানে সেখানে বসে এই খেলা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই জুয়ার কারবার।
এই অবৈধ ক্যাসিনো কারবারের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পৌর শহরের বাসিন্দা মুস্তাকিম। দেশে এসব জুয়ার সাইট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বড় বড় কিছু এজেন্ট তার মধ্যে অন্যতম এই মুস্তাকিম।তার এই ভয়ঙ্কর জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ আর সেই সুযোগে মুস্তাকিম প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সর্বস্বান্ত করছে সাধারণ মানুষ কে।মোস্তাকিম ঈশ্বরগঞ্জে তরুণ , তরুণী, কিশোর, যুবক ও পঞ্চাশোর্ধ মানুষকে এই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত করে তাদের করছে সর্বস্বান্ত। কেহ কেহ কিস্তি, স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক, জমি বিক্রি করে ধনী হওয়ার আশায় ওই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাও অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার নেশায় পড়াশোনা বাদ দিয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে এই ক্যাসিনো কাণ্ডে আর মুস্তাকিম সেই সুযোগে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন তথ্যের জানা যায় মুস্তাকিম দুই বছর আগেও ছিল অস্বচ্ছ ফ্যামিলি ছিলনা নির্ধারিত কোন আয়ের উৎস তারপরেও মালিক বনে যায় কোটি কোটি টাকার নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় অর্জন করে বিভিন্ন স্থাপনা ও অটল সম্পত্তি একাধিক ব্যক্তির তথ্য মতে জানা যায় ১২ কাঠা জমির উপর চার থেকে পাঁচটি মাছের ফিসারী, কিছু দিন আগেও ২০ শতাংশ জায়গা কিনে দুই কোটি টাকা দিয়ে,তার আন্ডারে রয়েছে তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল, বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার ৫০ থেকে ৬০ কাটা জমি এবং করেছেন নিজের বাড়ি পাকা ওশীততাপ নিয়ন্ত্রিত।কচু গাছ কাটতে কাটতে মোস্তাকিম হয়ে ওঠেন ডাকাত অল্প সময়ে এই পরিবর্তন করেন নিজের জীবন ব্যবস্থা। বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায় সব সবকিছু করেছে অনলাইন কেসিনো প্রতারণার ফাঁদে পেলে মানুষকে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে যেন আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।মুস্তাকিমের করাল গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে মানুষ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপকর্মে সমাজে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি এমনকি স্বামীর হাতে স্ত্রীরা হচ্ছে নিঃগৃহীত, ভাঙছে সংসার । অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট মুস্তাকিম। তার এর এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ডে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এখনই যদি লাগাম টানতে না পারে ভবিষ্যতে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির মোকাবেলা হতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা।
কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না এই অনলাইন জুয়া।শিশু থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ তরুণীরা এই অনলাইন জুয়া আসক্ত হয়ে আজ দিশেহারা। এমনকি এই ক্যাসিনো সিন্ডিকেট কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই এলাকার সাধারণ মানুষ এর মাঝে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের মারামারি হানাহানি ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা যা নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ বাসির মাঝে প্রতিনিয়তই আলোচনা সমালোচনা ঝড় বয়ে আনে। এই বিষয়ে এই মুস্তাকিম এর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায় নি।পুরা ঈশ্বরগঞ্জ বাসির সাধারণ মানুষদের দাবি এই অনলাইন কেসিনো জোয়ার ব্যবসার সাথে যারা যারা জড়িত তাদেরকে প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে এসে যুব সমাজকে এই জুয়ার কোরাল থাবা থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর ঈশ্বরগঞ্জ উপহার দেওয়া।
এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অবৈধ ওই অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে যৌথ বাহিনীদের সাথে নিয়ে অভিযানে নামব।