পুলিশ সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সংস্কারে এসব প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বাস্তবায়ন করতে সংস্কার কমিশনের প্রতি আহবান।
প্রস্তাবনা সমূহ:
১.পুলিশ প্রশাসনে বদলী ও পদায়ন রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়,মেধা, যোগ্যতা এবং সিনিয়রিটির ভিত্তিতে করতে হবে।
২. প্রতি ৫ বছর পরপর সকল পদে ( কনস্টেবল হতে এডিশনাল আইজি পর্যন্ত) যোগ্যতার ভিত্তিতে সন্তোষজনক চাকরীর রেকর্ডে পদোন্নতির অটো সিস্টেম চালু করতে হবে, যাতে কোনো সিনিয়র বা রাজনৈতিক নেতার লেজুড়বৃত্তি করতে না হয়। প্রয়োজনে সংখ্যাতিরিক্ত ( স্বপদে পদোন্নতি) সুপারনিউমারারি পদ এএসআই হতে তদুর্ধ সকল পদে) তৈরি করতে, এতে সরকারের তেমন আর্থিক ক্ষতি হবে না,সকলে আত্মসম্মান নিয়ে চাকরী করতে পারবে।
৩. পুলিশ প্রশাসনে একই প্রতিষ্ঠানে ২-৩ বছরের বেশি কেউ চাকরী করতে পারবে না, পর্যায়ক্রমে সবাই সকল ইউনিটে চাকরী করার সুযোগ পাবে।
৪. যেমন, ট্রেনিং সেন্টার, এসবি, সিআইডি, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পর্যায়েক্রমে সকলকে চাকরির সুযোগ দিতে হবে। এতে করে সকলের মাঝে বৈষম্য দূর হবে, চাকরির শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
৫. পুলিশের ঝুঁকিপূর্ন কাজের জন্য সকলের জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করতে হবে।
৬. সকল স্তরের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপদ আবাসন এবং চিকিতসা সুবিধা চালু করতে হবে।
৭. পুলিশ প্রধানকে চীফ অব পুলিশ করে, অন্যান্য শখা প্রধানকে আইজি করলে বাহিনীর শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে, এবং এদের নিয়োগ সরকারের পরিবর্তে পুলিশ কমিশন সুপারিশ করবে।