কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: চতুর্মুখী লড়াইয়ে সরগরাম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নির্বাচনী মাঠে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমাসহ চারজন প্রার্থী এ পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে নির্বাচনের মাঠে সরব রয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, লাইজু হেলেন লাকি, রাশিদা বেগম ও মোসাম্মৎ নাজমুন নাহার মলি। যোগ্য প্রার্থী বাছাঁইয়ে চুল চেড়া বিশ্লেষনে ব্যস্ত রয়েছেন ভোটাররা। চায়ের দোকানসহ প্রতিটি স্থানে এনিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা গত নির্বাচনে প্রায় দুই-তৃতায়ংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এ পদে রয়েছেন। করোনা মহামারি থেকে শুরু করে যে কোন দূর্যোগে সবসময় জনগনের পাশে ঝাঁপিয়ে পরেছেন। বিশেষ করে বিগত বছরের কয়েকটি বন্যায় তার উপস্থিতি ও কার্যক্রম সাধারন মানুষের প্রসংশা কুড়িঁয়েছে। বন্যা কবলিত প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরনসহ তাদের খোঁজ খঁবর নিয়েছেন। এছাড়া, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দুইবার তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে জনগনের সেবা দিয়েছেন। বিগত পাঁচ বছরে তার নামে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এসকল দিক বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে আবারোও তাকে নির্বাচিত করবে এমনটাই আশা করছেন তার ভোটার ও সমর্থকরা।
এদিকে, নাজমুন নাহার মলি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ হলেও ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে তার উপর। সেদিক বিবেচনায় বড় একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে তার। এছাড়া, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি অত্যান্ত নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জনগনকে সেবা দিয়েছেন। তার সেবার পরিধিকে উপজেলা ব্যাপী পৌঁছে দিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে সে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন অনেকে। তবে, সে বিজয়ী হলে নারীদের অধিকার রক্ষাসহ অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন এ প্রার্থী।
অপরদিকে, অপর দুইজন প্রার্থী লাইজু হেলেন লাকি ও রাশিদা বেগম এর আগেও এই পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। রাশিদা বেগম ২০১৪ ও অপরজন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারেননি। এরা দুজনেই পৌর মহিলা কাইন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার ভোটাররা তাদের মূল্যায়িত করে নির্বাচিত করবে এমনটাই আশা করেন তারা। লাইজু হেলেন লাকির মতে, এর আগেও দুইবার নির্বাচন করেছি। শেষের বার বিজয়ী হয়েও যে কোন কারনে পরাজয় শিকার করতে হয়েছে। এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সে শতভাগ বিজয়ী হবেন। বিজয়ী হলে সরকারি সকল ধরনের বরাদ্ধের সুষ্ঠু বন্ঠনসহ গরীব, দুঃখী ও মেহনতি মানুষদের পাশে থাকবেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরআগে ২০ মে প্রতীক বরাদ্ধের তারিখ নির্ধারিন করা হয়েছে।