কেপিসি নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়ায় সরকারী খাস জমির মাটি কাটায় বাধা দেয়ায় হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার তার বিরুদ্ধে মিথ্যে ও হয়রানীমূলক মামলার অভিযোগ করেন। ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের দক্ষিণ পাশে বেড়ি বাঁধসংলগ্ন জায়গায় সুইজ গেট বন্ধ করে মাটি কাঁটতে গেলে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে, রেকর্ডিয় জমিতে মাটি কাটতে গেলে বাঁধা ও মারধরের স্বীকার হন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন কুদ্দুস সন্যামত। তিনি মাসুদ হাওলাদারসহ ১২ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন বলেও জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার বলেন, চান্দুপাড়া মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৪০৪৫ ও ৪০৫০ নং দাগে মোট ১ একর ৪৬ শতাংশ খাস জমি রয়েছে। এখানে একটি খাল রয়েছে যে খালের পানি ৪৭/৫ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের সুইজগেট দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সুইজগেটটি বন্ধ হলে ওই এলাকার প্রায় দুইশত গ্রামবাসী জলাবদ্ধতায় আটকে পরবে। স্থানীয় কুদ্দুস সন্যামত ওই জমিতে মাটি কেঁটে ভরাট করতে আসলে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পরেন। পরে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ভূমি’র হস্তক্ষেপে মাটি কাঁটা বন্ধ হয়। তিনি আরো বলেন, আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যে ও হয়রানীমূলক মামলা করা হয়েছে। তিনি এ মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানান।
মামলার বাদী কুদ্দুস সন্যামত বলেন, পটুয়াখালী এলও শাখার কাজের কথা বলে মাসুদ মেম্বার টাকা নিয়েছিলো। সে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন তালবাহানা করে। এছাড়া সে অন্যান্য আসামীদের নিয়ে বেকু মেশিন দিয়ে আমার জমির উপরের রাস্তা কাঁটতে থাকে। জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমাদের মারধর করে।
এবিষয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহম্মেদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাঁটা বন্ধ করি। বিষয়টি তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার প্রতিশ্রুতি দেয়।