কেপিসি নিউজ ডেস্ক।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে জাটকা শিকার থেকে বিরত জেলেদের বরাদ্ধকৃত চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণে এ অনিয়ম দেখা গেছে। এসময় অনেক নিবন্ধিত জেলে চাল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবার অনেকের নাম তালিকাভ‚ক্ত মাষ্টার রোলে থাকলেও তারা চাল পায়নি বলে জানান। এছাড়া যারা চাল পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি করে চাল পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমাকে ৮০ কেজি চালের কথা বলে একটা ৫০ কেজি ও একটি ৩০ কেজির বস্তা দেয়া হয়েছে। বাড়ি গিয়ে মেপে দেখি দুই বস্তায় ৬৫ কেজি হয়েছে।৭ নম্বর ওয়ার্ডের অপর জেলে জাকির হাওলাদার জানান, আমাকে ৮০ কেজির পরিবর্তে মাত্র ৩০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। এরকমের আমাদের অনেককেই কম দেয়া হয়েছে। একই এলাকার জেলে সাইদুল প্যাদার স্ত্রী খাদিজা জানান, আমার স্বামী বর্তমানে আলীপুরের আবুল কোম্পানীর ট্রলারে সাগরে রয়েছে। সকাল থেকে এখানে এসে বসে আছি। আজ আমাদের চাল দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বলছে আমাদের নাকি চাল দেয়া হবেনা। এখানে অনেক মোটারসাইকেল চালক ও বড় লোকদের চাল দেয়া হয়েছে। যারা জেলে নয় কিন্তু মেম্বার চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজন তাদেরও চাল দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মাষ্টার রোলের নামের তালিকা খুজে দেখা যায়, ৮৮৯ নম্বর তালিকাভ‚ক্ত জাকির হাওলাদার, ৮৪৭ নম্বরের হানিফ হাওলাদার, ৮৯৭ নম্বরের হুমায়ুন কবিরসহ অনেকের নামে চাল আসলেও তারা কেহই পায়নি বলে সাংবাদিকদের জানান।
এবিষয়ে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত উল্লাহ বলেন, এবার শতভাগ চাল আসেনি। ৬৫ ভাগ জেলের নামে চাল আসছে। যারা প্রকৃত জেলে তাদেরকেই চাল দেয়া হয়েছে।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, চাল বিতরনে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। কেউ অনিয়ম করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।