কেপিসি নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ন্যায় বিচার পেলেন অগ্নিদগ্ধ দুই মাদ্রাসা ছাত্র। রবিবার (১০ মার্চ) সকালে আহত ওসমান গণি’র পিতা জুয়েল চৌকিদারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের নিকট থেকে এ জড়িমানা আদায় করা হয়। এতে আহত দুই মাদ্রাসা ছাত্র ওসমান গণি (৯) ও সৈয়দ মুশফিকুর রহমান (৮) এর পরিবারসহ স্থানীয়দের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
জানা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুয়েল চৌধুরীর ছেলে ওসমান গণি ও সৈয়দ মামুনের ছেলে সৈয়দ মুশফিকুর রহমান স্থানীয় কুমারপট্টি মাদ্রায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। অপরদিকে অভিযুক্ত ছোমেদ ব্যাপারী, মাসুদ হাওলাদার ও সাগর হাওলাদার ওই এলাকায় পান্নু সিকদারের চালের মিলের ব্যবসায়ী। তারা ধান সিদ্ধ করে সেই চুলার আগুন যত্রতত্র খোলা ও অনুমোদিত জায়গা অবহেলায় রেখে দেয়। এতে গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরের দিকে ওই মাদ্রাসা ছাত্র দুজনে ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার সময় তাদের রেখে দেয়া আগুনে পড়ে মর্মান্তিক অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের দুজনেরই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত পুড়ে রক্তাক্ত জখম ও সেখানকার চামড়া উঠে যায়। ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল হাসপাতাল হয়ে ঢাকা বার্ন ইউনিটি নিয়ে ভর্তী করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করলে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ডেকে আনেন। মিলের মালিক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আহত মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের ডেকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। উভয় পক্ষই তা মেনে নিয়েছে।