বিশ্বজিৎ সিংহ রায়,,যশোর সাগরদাঁড়ী মধুমেলা থেকে ফিরে।। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ শত জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যশোর কেশবপুর এর সাগরদাঁড়ীতে শুরু হয়েছে নয় দিনব্যাপী মধুমেলা।
হাজারো দর্শনার্থীদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে
জমজমাট ভাবে শুরু হয়েছে মধুমেলা।কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে অবস্থিত মধুমেলা এ এলাকার এক মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে।গত ১৯জানুয়ারি থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।২৫ জানুয়ারি
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকীকে ঘিরে মধুমেলার
সকল আয়োজন শুরু হয়েছে।
এবছর ৭ দিন মধুমেলার আয়োজন করা হলেও
মহাকবির দুইশত তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেলাটি দুদিন বাড়িয়ে নয়’দিন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে দর্শনার্থীরা
দিনভর মেলা মাঠে একটু বিনোদনের জন্য সার্কাস যাদু প্রদর্শনী দেখছেন এবং নাগরদোলায় উঠতে দেখা যাচ্ছে।এছাড়া শিশুরা নাগরদোলায় দোল খাচ্ছে। খুলনা রুপসা থেকে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন লক্ষীকান্ত বর্মন তিনি জানান মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান কেশবপুর সাগরদাঁড়ী মানে কিছু মেধাবী মানুষের জন্ম-অর্জন এবং আনন্দের স্থান।এখানে আসলে এক অন্যরকম সুন্দর পরিবেশ মনে হয়। এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।
এবার মেলায় স্থান পেয়েছে ছোট বড় -৩৫১টি
স্টল। মেলা মাঠে রয়েছে খাবারের দোকান, মিষ্টির দোকান,কসমেটিক্স,শিশুদের খেলনা সহ হরেক রকমের দোকান।প্রচন্ড শীতের মধ্যেও নারী-পুরুষ দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন মালামাল বেচাকেনা ভালই দেখা যাচ্ছে।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকীতে দাবী তুলেছেন এখানকার সাংস্কৃতিক কর্মীরা।মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজরিত জন্মস্থানে একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক।সাগরদাঁড়ীর সঙ্গে সাতক্ষীরার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কপোতাক্ষ নদের উপর বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকোটিকে স্থানে একটি সেতু তৈরীর দাবী করেন।১৮২৪ সনের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলা সাগরদাঁড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্ম গ্রহণ করেন।