চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন এমপি বলেছেন, ‘আমার জীবনের শেষ নির্বাচন এটা। এর আগে পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, এটা আমার পাওয়া। আমার ব্যাক্তিগত ভূল ও আমার নেতাকর্মীদের ভূল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন দূর্নীতিবাজ অপশক্তির কাছে মাথানত করবেন না। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা আচরণবিধী মেনে ভোট দিতে যাবেন।আল্লাহ সহায় থাকলে কোন দূর্নীতিবাজ, অপশক্তি নৌকার বিজয় রুখতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে চাটমোহর বাসীর জন্য পৌর এলাকায় খাবার পানির প্রকল্প দিয়ে ছিলাম কিন্তু একটি দূনীতিবাজ মানুষ সেই টাকা খেয়ে ফেলেছে। চাটমোহরবাসীকে এক ফোটাও পানি খাওয়াতে পারে নাই। আমি আমার সাধ্য মত ব্রীজ কালভার্ট, রাস্তা, স্কুল কলেজের ভবন, মসজিদ মন্দিরের উন্নয়ন করেছি। নির্বাচিত হলে আরো করবো। আমি যদি কিছু চাই আমাদের নেত্রী কোনদিন মানা করবেন না। আপনারা অনেকেই পৌর এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে গেছে বলেছেন, কিন্ত পৌরসভার উন্নয়ন পৌরসভারই করতে হবে। এটি আমি কি ভাবে করবো। আমার এই নির্বাচনী বক্ত্যই শেষ আর কোনদিন আপনাদের মাঝে ভোট চেয়ে বক্তব্য দিতে আসবো না। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করি আপনারা ভালো থাকুন। আর আপনারা আমার ও আমার নেতাকর্মী দলের জন্য দোয়া করবেন। সবাই আচরন বিধি মেনে ভোট দিবেন। নৌকাকে বিজয়ী করবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি ) বিকেলে পাবনার চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সহ সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ভুষন রায়, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবির প্রমূখ।
নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী জনসভায় উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।