কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভাতিজাকে বাচাঁতে চাচার দোকানে হামলা ও ভাঙ্গচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের হাঁসাখালী বাজারের একটি দোকানে এ হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। দোকনের সিসি ক্যামেরা ও ক্যাশ টেবিল ভাঙ্গচুরসহ টিনের বেড়া কোপানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসময় সোহানসহ তার চাচা দোকানের মালিক রহমত উল্লাহকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা যায়, ঘটনার আগের দিন ওই দোকানের মালিক রহমত উল্লাহ’র ভাতিজা সোহানের সাথে স্থানীয় মিন্টু ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই কোয়েলের সাথে একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এতে তাদের দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই জের ধরে ঘটনার দিন দুপুুরে মিন্টু ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি বাহিনী সোহানের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য সে ওই দোকানে অবস্থান নেয়। সোহানকে সেখান থেকে বের করে তাদের হাতে তুলে না দেয়ায় ওই দোকানে হামলা ও ভাঙ্গচুর করেন তারা। এসময় হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ওই দোকানের মালিক মো. রহমত উল্লাহ।
অভিযোগকারী রহমত উল্লাহ বলেন, মিন্টু ভূঁয়ার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি বাহিনী আমার ভাতিজা সোহানের উপর আক্রমন করে। বাঁচার জন্য সে দৌড়ে আমার দোকানে আশ্রয় নেয়। আমি তাকে দোকান থেকে তাদের হাতে তুলে না দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দোকানে ভাঙ্গচুর ও হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানের সিসি ক্যামেরা ও ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তবে, এবিষয়ে অভিযুক্ত মিন্টু ভূঁইয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই কোয়েলকে সোহান মারধর করে। সেই সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি। কিন্তু দোকানে ভাঙ্গচুর ও টাকার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরোও বলেন, আমার চাচাতো ভাই কোয়েল এখনও হাসপাতালে ভর্তী রয়েছে।
মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।