মোঃ নাসিম:- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক কৃষকের ৫ বিঘা জমিতে বিষ স্প্রে করে আমন ধানক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সকালে উপজেলার মাক্তাপুর গ্রামে। ধান নষ্ট হওয়ায় দিশাহারা ওই জমির কৃষক আনারুল ইসলাম। এঘটনায় নাচোল থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগি কৃষক।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ভুক্তভোগি আনারুল ইসলামের মাক্তাপুর গ্রামের ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আমন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানক্ষেতে বিষ স্প্রে করার ফলে ধানের গোছালীর ওপরে পাতাগুলো হলুদ হয়েগেছে। নিষ্প্রাণ পাতাগুলো মরে গেছে। ৫বিঘা ধানক্ষেতই পুড়ে গেছে।ক্ষতিগ্র¯ কৃষক আনারুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান,পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৫বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান রোপণ করেন। ধানের গোছালী দ্রুতই বাড়ছিল। কিš হঠাৎ দানা বাঁধা স্বপ্ন পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।কৃষক আনারুল ইসলাম আরো বলেন,গত একবছর পূর্বে আমার পৈত্রিক জমিকে নিজেদের বলে দাবি করেন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মিনহাজ ও এমদাদুল। পরে আমি চলতি বছরে আদালতে একটি মামলা করি,যা চলমান রয়েছে।আদালতের রায়ে যদি আমি জমির মালিক হই তাহলে আমি পাব,আর প্রতিপক্ষরা রায় পেলে তারা পাবে।রায়ের আগেই কেন আমার জমির ধান নষ্ট করলো।আনারুল ইসলাম প্রশাসনের নিকট নায্য বিচার দাবি করেন। আনারুল ইসলামের ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ভিডিওি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। মাক্তাপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী সারিফুজ্জামান বলেন,সোমবার সকালে ১০/১২জন লোক আনারুল ইসলামের ধানক্ষেতে বিষ স্প্রে করে। পরের দিন দেখি ধানক্ষেতে ধানের পাতাগুলো মরে হলুদ হয়েগেছে। জমির মালিক যেই হোক ধানগুলো নষ্ট করা উচিত হয়নি।এবিষয়ে প্রতিপক্ষ মিনহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমরা জমির ক্রয় সুত্রে মূল মালিক।আনারুল ইসলাম আমাদের জমিতে জোর করে ধান রোপন করেছিল কিন্তু আমরা ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করিনি।
এবিষয়ে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে ধানক্ষেত নষ্ট করার ঘটনায় থানায় জিডি করেছে ওই কৃষক। জিডিমূলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।