মোঃ নাসিম: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কিছুতেই থামছে না গরু চুরির ঘটনা। গতকাল সোমবার রাতেও কসবা ইউপির চন্দনা গ্রামে এক শিক্ষকের বাসায় একটি গাভী ও ২টি বড় খাসি চুরি হয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসে ১০টি গরু চুরির ঘটনা সহ ১০ভরি স্বর্ণঅলংকার সহ নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে গরু চুরির ঘটনায় প্রান্তিক গরু খামারিরা আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।তবে পুলিশের দাবি পুলিশি টহল জোরদার রয়েছে উপজেলায়।
জানাযায়,গতকাল সোমবার রাতে কসবা ইউপির চন্দ্রনা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোজাম্মেল হকের (স্কুল শিক্ষক) বাসায় একটি গাভী ও ২টি বড় খাসি (যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষ টাকা) চুরি হয়েছে।
স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান,রাত যখন ২টা ঠিক তখন তাঁর গোয়াল ঘরে বিকট শব্দ হয়,শব্দ শোনার পর ঘুম ভেঙ্গে গেলে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরের তালা কাটা রয়েছে এবং গোয়াল ঘরে গরু ও খাসি নাই। পরে বাইরে বের হয়ে দেখতে পাই ৩থেকে ৫জন চোর সাদা পিকাপে করে গরু ও খাসি নিয়ে যাচ্ছে।পরে চোরদের পিছু নিলেও রাত গভীর হওয়ার কারনে চোরদের ধরতে পারিনি।পরে নাচোল থানা পুলিশ কে চুরির বিষয়ে অবহিত করি।
গত ১৮আগষ্ট শুক্রবার রাতে উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের ইসমাইল হকের ছেলে মোতাহার হোসেনের বাসায় চারটি গরু চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় চারলক্ষ টাকা।
প্রান্তিক গরু খামারি মোতাহার হোসেন জানান,আমার গোয়াল ঘর থেকে চারটি গরু চুরি হওয়ার পর থেকে আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি, আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা গরু চুরির সাথে জড়িত । থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গরু উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ।গত এক মাসে পৌর এলাকার জণৈক এক স্কুল শিক্ষকের বাসায় ১০ভরি স্বর্ণঅলংকার ও লক্ষাধিক নগদ টাকা চুরি হয়।তবে এ ঘটনায় নাচোল থানা পুলিশ ৫ভরি স্বর্ণঅলংকার সহ নগদ ৪৫হাজার টাকা উদ্ধার সহ ৫জন চোরকে আটক করে।
এছাড়া গত জুলাই মাসে ও নেজাপুর এলাকার টককিয়া এলাকায় ৪টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।স্থানীয় এলাকাবাসির দাবি নাচোল থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত টিম এলাকায় টহল জোরদার করলে চুরির ঘটনা কমতে পারে।
এ বিষযে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় পুলিশি টহল জোরদার রয়েছে। এ সময় চোরদের উৎপাত বেশি, তাই রাতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চোরকে আটক করা হয়েছে এবং চুরির মালামাল কিছুটা উদ্ধার করা হয়েছে। চোরদের ধরতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।