মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে দলিল লেখকের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলা সাবরেজিষ্টি অফিসে এ বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬০০ টি দলিল রেজিস্ট্রী করা হয়। প্রতিটি দলিল থেকে দলিল লেখক ও ষ্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যান সমিতির নব গঠিত কমিটি উক্ত সমিতি ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা আদায় করে থাকে। এভাবে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা আদায় করে থাকে দলিল লেখক সমিতি। আগামী ১লা আগষ্ঠ থেকে দলিল প্রতি বর্ধিত টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করলে স্থানীয় কয়েক জন দলিল লেখক বিষয়টিতে বাধা দেয়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে, ৩০ জুলাই বিকালে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লিল ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এবং হুমকি দিয়ে বলেন, কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ত্রী অফিসের কোন দলিল রেজিস্ত্রী করতে চাইলে অবশ্যই আমার সমিতিতে চাঁদা দিতে হবে। এ সময় দলিল লেখক সোহেল রানা ও হাবিবুর রহমান প্রতিবাদ করিলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত দলিল লেখক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিরা তাদের উদ্ধার করে। এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সমিতিতে মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি তবে গত পিকনিকের চাঁদা বাকী থাকায় আমি বকেয়া টাকা চাওয়ায় ওদের সাথে সামান্য মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে আমরা উভয় পক্ষ মিমাংশা করে নিয়েছি। এ বিষয়ে দলিল লেখক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অফিসে ভিতরে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করায় আমি মর্মহত হইয়াছি, কষ্ট পেয়েছি, এবং এ ঘটনায় আমার মানহানী ঘটেছে। আমি এর নায্য বিচার দাবি করছি। বিষটি নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার আমির হামজার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। এই বিষটির খোজ খবর নিয়ে দেখব । কালিয়াকৈর দলিল লেখকদের মাঝে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় স্থানীয় সুধী মহল হতাশা ব্যাক্ত করে বলেন, শিক্ষিত সমাজে এরকম ঘটনা সমাজের অবক্ষয়ের সামিল।